শিরোনাম
মঙ্গলবার, ৩০ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা

অটোরিকশায় অতিষ্ঠ নগরবাসী

আফজাল, টঙ্গী

অটোরিকশায় অতিষ্ঠ নগরবাসী

গাজীপুরে সড়কজুড়ে অবৈধ অটোরিকশা আর ইজিবাইকের যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ নগরবাসী। সরকারি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে অবাধে তৈরি হচ্ছে এসব গাড়ি। এসব অবৈধ গাড়ির চালকদের লাগে না ড্রাইভিং লাইসেন্স, লাগে না সিটি করপোরেশনের অনুমতি। ফলে ছোট ছোট শিশুরাও ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি চালাচ্ছে। যেখানে সেখানে গাড়ি পার্কিং করে যানজট তৈরি করছে। সড়কে অন্যান্য গাড়ির চেয়ে অটোরিকশা-ইজিবাইকের সংখ্যা বেশি। গাজীপুরে কত সংখ্যক রিকশা, ইজিবাইক রয়েছে এর পরিসংখ্যান কারও কাছে নেই। তবে এসব গাড়ি থেকে প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করার অভিযোগ রয়েছে। চাঁদার একাংশ পুলিশ ও দলীয় নেতা-কর্মীদের পকেটে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

নগরীর বিভিন্ন এলাকায় সড়ক মহাসড়কজুড়ে অবৈধ অটোরিকশা আর ইজিবাইকের যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ নগরবাসী। অবৈধ গাড়ি তৈরির অসাধু মালিক ও চালকরা কোনো নিয়ম মানছেন না। এসব গাড়ির ধাক্কায় দুর্ঘটনাও ঘটছে অহরহ। পুলিশ ও দলীয় নেতাদের ম্যানেজ করে এসব গাড়ি চলাচল করছে। টঙ্গী বাজার, স্টেশন রোড, চেরাগ আলী, কলেজ গেট, হোসেন মার্কেট, এরশাদনগর, তাড়গাছ, বড়বাড়ি, বোর্ডবাজার, মালেকের বাড়ি, চৌরাস্তা, জয়দেবপুর, শিববাড়ি, পূবাইল, মিরের বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় এখন অটোরিকশা আর ইজিবাইকের ছড়াছড়ি। সড়কে এসব গাড়ি চলাচলের ফলে মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই।

টঙ্গী স্টেশন রোড এলাকায় ইজিবাইক চালক ইরান বলেন, থানায় টাকা দিলে লাইসেন্স লাগে না। নেতা-কর্মীদের জিপি দিলে সব ঠিক। এলাকাবাসী বলেছেন, গাজীপুরের লাখ লাখ অটোরিকশা, ইজিবাইক মালিকদের কাছ থেকে সিটি কর্তৃক নিবন্ধন ফি নেওয়া হলে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব আয় হতো। এ ব্যাপারে ট্রাফিক পুলিশ বলছেন, এসব গাড়ির বিরুদ্ধে আমার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

সর্বশেষ খবর