মঙ্গলবার, ১৩ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

নগরবাসীর ভোগান্তি চরমে

মহিউদ্দিন মোল্লা, কুমিল্লা

নগরবাসীর ভোগান্তি চরমে

কুমিল্লা নগরীতে দিনের বেলায় অসংখ্য বাস, কিছু ট্রাক ও ভটভটি চলাচল করছে। এতে যানজটে নগরী থমকে যায়। ভোগান্তিতে পড়ছেন অফিসগামী মানুষ, শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন পেশার লোকজন। রবিবার দুপুর ১টার দিকে লাকসাম রোডে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুলের কয়েকটি বাস যানজট আটকে আছে। সঙ্গে রয়েছে ট্রাক ও রডবাহী ভটভটি। কাশেমুল উলুম মাদরাসার বিপরীতে সড়কে ফেলে রাখা হয়েছে বালু। ভটভটির কালো ধোঁয়ায় অন্ধকার চারপাশ। সঙ্গে রয়েছে বিকট শব্দ। যানজটে রিকশায় বসে স্কুল শিক্ষার্থীরা মুখে হাত চাপা দিয়ে কাশছে। এই দুর্ভোগে পড়েন অন্য যাত্রীরাও। এদিকে কুমিল্লা নগরীর কান্দিরপাড়, মনোহরপুর, নিউমার্কেট, রাজগঞ্জ, মোগলটুলী, বাদুরতলা, ঝাউতলা, টমছমব্রিজ, পুলিশ লাইন, ফৌজদারি সড়কেও তীব্র যানজট দেখা যায়। নগরীর মডার্ন,  ফয়জুন্নেছা ও ওয়াইডব্লিউ সি এ স্কুল শুরুর আগে বাদুরতলা এলাকায়ও তীব্র যানজট হয়। ছুটির সময়ও একই অবস্থা।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন কুমিল্লার সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর মাসুম বলেন, বিভিন্ন সময়ে শুনি সিটি করপোরেশন ও প্রশাসন যানজট নিরসনে নানা উদ্যোগ নিচ্ছে, কিন্তু যানজট কমছে না। নগরীতে চলাচল করা পরিবহনগুলোকে লাইসেন্সের আওতায় আনতে হবে। প্রয়োজনে পরিবহনের সংখ্যা কমাতে হবে। কুমিল্লার ট্রাফিক ইন্সপেক্টর জিয়াউল হক চৌধুরী টিপু বলেন, নগরীতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ৩২টি বাস চলাচল করে। ছোট সড়কে বড় বাস চলায় যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। সেগুলোকে ঈদগাহের পাশে ও টমছম ব্রিজের পরে অবস্থান করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. সফিকুল ইসলাম বলেন, কুমিল্লা নগরীর যানজট নিরসন নিয়ে সম্প্রতি তিন দফা সভা হয়েছে। বাস চলাচলের জন্য কিছু নিয়ম করা হয়েছে। নগরীতে বড় অটো চলাচল করবে না। মিশুক চলবে ৫ হাজার। সিএনজি অটোরিকশা চলবে ১ হাজার। সেগুলো রং করে দেওয়া হবে। জুলাইতে আমরা ক্রাশ প্রোগ্রামে যাব।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর