মঙ্গলবার, ১১ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

টিলায় বাড়ছে আমের চাষ

মহিউদ্দিন মোল্লা, কুমিল্লা

টিলায় বাড়ছে আমের চাষ

কুমিল্লার লালমাই পাহাড়ের টিলায় টিলায় বাড়ছে মিষ্টি আমের চাষ। নগরীর রূপবানমুড়াসহ পাহাড়ের বড় ধর্মপুর, বারপাড়া, রতনপুর, রাজারখোলা এলাকায় বাগানে থোকায় থোকায় ঝুলছে নানা জাতের আম। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের আশাবাদ আগামী কয়েক বছরে কুমিল্লার পাহাড়ে আমের চাষ আরও বাড়বে। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য বাগান দেখা গেছে সদর দক্ষিণ উপজেলার বারপাড়া ও রূপবানমুড়া এলাকায়। বারপাড়া বাগান এলাকায় গিয়ে দেখা যায়,পাহাড় ও ঢালুতে দুই একর জায়গায় এই বাগানের অবস্থান। চার-পাঁচ হাত উঁচু আম গাছ। প্রতিটি গাছে শত শত আম ঝুলছে। মনে হবে- আমের মেলা বসেছে। কিংবা কোনো শিল্পী তার পটে ছবি এঁকে রেখেছেন। স্থানীয় বাসিন্দারা আসছেন বাগানের আম দেখতে। এই বাগানে হালকা বাতাসে দুলছে বারি-৪ আম। বাগানের মালিক পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের সাবেক কর্মকর্তা এ আর এম হারিছুর রহমান ও তার স্ত্রী জোহরা নাছরিন বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত। এ আর এম হারিছুর রহমান বলেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের লোকজনের পরামর্শে বাগানটি করেছি। এই শুকনো মাটিতে এই আম হবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ ছিল। এই বাগান থেকে সাত বছর ফল সংগ্রহ করছি। আমার বাগান দেখে আরও কয়েকজন উদ্বুদ্ধ হয়েছে। রূপবানমুড়া এলাকার কৃষক আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমার বাগানে বিভিন্ন জাতের আমের চাষ করেছি। ভালো ফলন হয়েছে। আগামী বছর আরও বেশি জমিতে আম চাষ করব। স্থানীয় উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা এম এম শাহারিয়ার ভূঁইয়া বলেন, বারি-৪ ওজনে ৫০০-৯০০ গ্রাম হয়ে থাকে। স্বাদ ভালো। কাঁচা-পাকা উভয় অবস্থায় এটি মিষ্টি। আমাদের পরামর্শ মোতাবেক পরিচর্যা করায় তার বাগানের ফলন ভালো হয়েছে। তার দেখাদেখি অন্যরাও আগ্রহী হচ্ছেন। জুলাইতে আম সংগ্রহ করা যাবে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর কুমিল্লার উপপরিচালক মো. মিজানুর রহমান বলেন, বারপাড়া ও রূপবানমুড়ার বাগানগুলো পরিদর্শন করেছি। বারি-৪ আম সবার শেষে বাজারে আসে। তাই এই আম চাষ করে কৃষক লাভবান হতে পারবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর