মঙ্গলবার, ১৮ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

কীর্তনখোলার তীরে নয়া পর্যটন কেন্দ্র

রাহাত খান, বরিশাল

কীর্তনখোলার তীরে নয়া পর্যটন কেন্দ্র

বরিশাল সদর উপজেলার চরবাড়িয়া এলাকায় কীর্তনখোলা নদী প্রতিরক্ষা বাঁধ এখন নয়া বিনোদন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। ১৪ জুলাই ৩৩১ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রতিরক্ষা বাঁধের উদ্বোধন করেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক। সরকারি ছুটির দিনসহ বিশেষ উৎসবে লোকারণ্য হয়ে যায় কীর্তনখোলা প্রতিরক্ষা বাঁধ। নদীর তীরে হঠাৎ দর্শনার্থীর আগমন হওয়ায় প্রতিরক্ষা বাঁধ ঘিরে গড়ে উঠেছে বহু রেস্টুরেন্টসহ ক্ষুদ্র ব্যবসা কেন্দ্র। তবে সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করা হলে কীর্তনখোলার তীরের চরবাড়িয়া এলাকায় বিনোদনপ্রেমীদের পদচারণা বাড়বে বলে ধারণা স্থানীয়দের। কীর্তনখোলা নদীর ভাঙনের কবল থেকে চরবাড়িয়া এলাকা রক্ষায় সরকারের চলতি মেয়াদের শুরুর দিকে ৩৩১ কোটি টাকা ব্যয়ে কীর্তনখোলা নদীর চরবাড়িয়া এলাকায় ৫ দশমিক ৬ কিলোমিটার তীর স্থায়ীভাবে সংরক্ষণ কাজ শুরু হয়। সিসি ব্লক ফেলে নদীর তীর সংরক্ষণ কাজ সম্প্রতি শেষ হয়। এই উন্নয়ন কাজ পর্যটনবান্ধব করতে নদীর তীরে স্থাপন করা হয় ৫৬টি পাকা বেঞ্চ এবং বাহারি রঙের ৫৬টি বাতি। তীর সংরক্ষণ কাজ চলমান অবস্থায়ই বিনোদনপ্রেমী মানুষের পদচারণা শুরু হয় কীর্তনখোলা তীরবর্তী চরবাড়িয়া এলাকায়। একটি রেস্তোরাঁর মালিক রানা ফরাজী বলেন, নদীর তীর রক্ষা বাঁধের কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর এখন এলাকাটি একটি বিনোদন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। দর্শনার্থীদের খাবার ব্যবস্থার জন্য বেশ কিছু হোটেল রেস্তোরাঁ গড়ে উঠেছে। সরকারি ছুটির দিনসহ বিশেষ উৎসবে দর্শনার্থীদের আগমন বেড়ে গেলে তাদের বিক্রিও বেড়ে যায়। এতে স্থানীয় অনেকের রুটি রুজির ব্যবস্থা হয়েছে। দর্শনার্থী মাঈদা তাহসিন ও মারিয়া আক্তার বলেন, এই এলাকায় তারা এর আগে কখনো আসেননি। লোকমুখে শুনে চরবাড়িয়ায় কীর্তনখোলার তীরে প্রথমবার বেড়াতে এসেছেন। অসম্ভব সুন্দর জায়গা। প্রাকৃতিক পরিবেশ-নির্মল বাতাস সব কিছুই পর্যটনবান্ধব। বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিব হোসেন বলেন, নদীর তীর সংরক্ষণ কাজটি পর্যটনবান্ধব করার নির্দেশ ছিল পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুকের। ৫ দশমিক ৬ কিলোমিটার সংরক্ষিত তীরে ৫৬টি বেঞ্চ এবং ৫৬টি বাহারি রঙের বৈদ্যুতিক বাতির ব্যবস্থা করা হয়েছে। এক সময়ের ভাঙনকবলিত এলাকায় এখন আনন্দের বন্যা বাইছে।

সর্বশেষ খবর