বরিশাল নগরীর অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোর একাংশ অটোরিকশাচালকদের দখলে। কংক্রিটের অস্থায়ী পিলার দিয়ে প্রশস্ত সড়কগুলো কৃত্রিমভাবে সংকুচিত করে রাখায় যানজট লেগে থাকে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক মোড়গুলোতে। এতে জনভোগান্তি হলেও কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে না মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ। নগরীর ব্যস্ততম হাতেম আলী কলেজ চৌমাথা। বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের এই স্থান লাগোয়া পশ্চিমে নবগ্রাম সড়ক এবং পূর্বে বটতলা সড়ক। দুটি সড়কই গুরুত্বপূর্ণ এবং দিনভর ব্যস্ত। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ এই দুই সড়কে চলাচল করে। পশ্চিমদিকে নবগ্রাম সড়ক শুরুর স্থলে একটি বড় অংশ কংক্রিটের তৈরি অস্থায়ী পিলার দিয়ে অনেকটা স্থায়ীভাবে নিজেদের করে নিয়েছেন অটোরিকশা-থ্রিহুইলার চালকরা। একইভাবে মহাসড়ক লাগোয়া বটতলা সড়কেরও একাংশ পিলার দিয়ে আটকে রেখেছে তারা। সারিবদ্ধভাবে অটোরিকশা-থ্রিহুইলার রেখে সড়কের সম্মুখভাগ সংকুচিত করা হয়েছে। এতে পথচারীসহ যান চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। সৃষ্টি হচ্ছে যানজট, ঘটছে দুর্ঘটনা। এ নিয়ে প্রায়ই ঝামেলা হলেও সুরাহা হচ্ছে না। এভাবে নগরীর নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাসটার্মিনাল ও রূপাতলী বাসটার্মিনাল, লঞ্চঘাট, জেলখানা মোড়, সদর রোড, বিবির পুকুরের উত্তরপার ও কাকলী মোড়ে প্রধান প্রধান সড়কের সম্মুখভাগগুলো কংক্রিটের পিলার রেখে অবৈধভাবে দখল করেছে অটোরিকশা ও থ্রিহুইলার চালকরা। এতে পথচারী এবং বড়-ছোট যান স্বাচ্ছন্দ্যে চলতে পারে না। যানজট লেগেই থাকে। ভুক্তভোগীরা মূল সড়ক থেকে ছোট যানের অবৈধ স্ট্যান্ড সরিয়ে দিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তাদের দাবি, অটোরিকশা আর থ্রিহুইলার নৈরাজ্যে সড়কে শৃঙ্খলা নেই। সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে ট্রাফিক বিভাগকে কঠোর হওয়ার আহ্বান জানান তারা।