মঙ্গলবার, ২২ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপার উত্তরায়

আফরিদ সাররাফ আলী

ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপার উত্তরায়

রাজধানীর উত্তরা থেকে আবদুল্লাহপুর অংশে কিছুদিন আগেও ছয়টি পয়েন্টে ফুটওভার ব্রিজ ছিল। পথচারীরা স্বাচ্ছন্দ্যে রাস্তা পার হতে পারতেন। বাস র‌্যাপিড ট্রানজিটের (বিআরটি) নির্মাণকাজের জন্য জসীম উদ্দীন, বিএনএস সেন্টার, হাউস বিল্ডিং এবং আবদুল্লাহপুরের ফুটওভার ব্রিজগুলো ভেঙে ফেলা হয়েছে। ফুটওভার ব্রিজ না থাকায় ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পার হন পথচারীরা।

আবদুল্লাহপুর এলাকাটি খুব ব্যস্ত। এখানে দিনরাত সব সময় মানুষের উপস্থিতি থাকে। ত্রিমুখী রাস্তার মাথা হওয়ায় রাস্তা পারাপারও খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। আগে এখানে ফুটওভার ব্রিজ ছিল। বিআরটি প্রকল্পের কারণে ব্রিজগুলো ভেঙে ফেলা হয়েছে। উত্তরা থেকে আবদুল্লাহপুর সড়কটির উভয় পাশে পলওয়েল কার্নেশন মার্কেট, ক্যামব্রিয়ান স্কুল, কাঁচাবাজারসহ অসংখ্য ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও শপিং মল রয়েছে। ফুটওভার ব্রিজ না থাকায় পথচারীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপার হচ্ছেন। এ ছাড়া হাউস বিল্ডিংয়ের মোড়েও পথচারীরা ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পার হন। হাউস বিল্ডিংয়ের উভয় পাশে মাসকাট প্লাজা, নর্থ টাওয়ার মার্কেট, উত্তরা গার্লস হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ, উত্তরা ইউনিভার্সিটিসহ বেশ কয়েকটি শিক্ষা ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এবং শপিং মল রয়েছে। এ ছাড়া সড়কের অনেকটা জায়গা নিয়ে বিআরটির যাত্রী ছাউনি নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে এই মহাসড়কটি সংকীর্ণ হয়ে গেছে। এখানে একপাশে থাকা সার্ভিস লেনটি এখন মহাসড়কের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। যেখানে রিকশা, বাস, ট্রাকসহ সব যানবাহন চলে। মহাড়কের উভয় পাশে এসব প্রতিষ্ঠান থাকায় প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ রাস্তার এপাশ থেকে ওপাশে যাতায়াত করে। একই অবস্থা উত্তরা বিএনএস সেন্টার, আজমপুর, রাজলক্ষ্মী ও জসীম উদ্দীন মোড়ে। যদিও আজমপুর ও রাজলক্ষ্মীতে ফুটওভার ব্রিজ থাকলেও সার্ভিস লেন পার হয়ে ব্রিজে উঠতে হয়।

হাউস বিল্ডিংয়ে এলাকায় কথা মো. আমির হোসাইনের সঙ্গে। তিনি বলেন, উত্তরার মেইন সড়কটি খুবই বিপজ্জনক। এই সড়কটি পার হতে ঝুঁকি নিতে হয়। সড়ক পার হতে গিয়ে প্রায় ঘটে দুর্ঘটনা। কয়েকদিন আগেও এখানে রাস্তা পার হতে গিয়ে দুর্ঘটনায় একজন মারা যায়।

হাউস বিল্ডিং এলাকার বাস কাউন্টার মাস্টার মাহমুদ হাসান বলেন, এখানে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। মানুষ রাস্তার চারপাশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা বক্স, ডিভাইডার ও বাঁশ দেখে বিভ্রান্ত হয়ে যায়। বাসগুলোও বেপরোয়া গতিতে চলে। রাতের বেলায় রাস্তা আরও বিপজ্জনক হয়ে যায়।

জানা যায়, হাউস বিল্ডিংসহ উত্তরার রাস্তায় পার হতে অনেক সময় ১০ মিনিটও অপেক্ষা করতে হয়। অসংখ্য মানুষকে প্রতিদিন এই রাস্তা পার হতে হয়। বিএনএস এলাকায় উত্তরা হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ, রাজউক উত্তরা মডেল কলেজসহ অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পার হতে হয়।

পুলিশের এএসআই শিবলি সাদিক বলেন, নিয়ম মেনে সিগনালের জন্য অপেক্ষা করতে হয় পথচারীদের। অনেকে আবার সিগনাল না মেনে নিজের মতো রাস্তা পার হয়। ফলে ঘটে বিপত্তি। তবে রোগী বা অসুস্থদের আমরা রাস্তা পার করে দিই।

সর্বশেষ খবর