রাজশাহী শহরে গণপরিবহন সার্ভিস না থাকায় রিকশা ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রার একমাত্র ভরসা। রাজশাহীকে তাই বলা হয় রিকশার শহর। বাস সার্ভিস ব্যবহার করা হয় কেবল আন্তজেলা ও দূরপাল্লার বিভিন্ন রুটে। সেই শহরে তাই পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয়েছে বাইক শেয়ারিং সার্ভিস। তবে বাইক শেয়ারিং সার্ভিস নাম দেওয়া হলেও আদতে এগুলো ব্যাটারিচালিত স্কুটি বা স্কুট। আর এই বাইক কেউ চালিয়ে গন্তব্যে নিয়ে যাবে না। বাইক ভাড়া নিয়ে নিজেরাই চালিয়ে বেড়াতে হবে। পেছনে নেওয়া যাবে একজন সহযাত্রীকেও।

গত ২১ আগস্ট থেকে ‘স্কুট লিমিটেড’-এর ব্যাটারিচালিত আটটি স্কুটি নিয়ে শুরু হয়েছে এর যাত্রা। স্কুটিগুলো ঘণ্টা চুক্তিতে ভাড়া নেওয়ার জন্য যাত্রীদের প্রথমেই নির্ধারিত ফরমে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এ জন্য খরচ করতে হবে ২০ টাকা। আর প্রাথমিকভাবে প্রতি ঘণ্টায় এ স্কুটি চালানোর ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে মিনিটে ২ টাকা। অর্থাৎ এক ঘণ্টার জন্য ১২০ টাকা। বর্তমানে রাজশাহী মহানগরীর ভদ্রা স্মৃতি অম্লান চত্বরে একটি মাত্র বাইক শেয়ারিং সার্ভিস পয়েন্ট চালু হয়েছে। তবে নতুন এ স্কুটি সার্ভিসটি ভালো সাড়া পেলে রাজশাহী শহরের আরও বেশ কয়েকটি পয়েন্টে এ কার্যক্রম চালুর পরিকল্পনা আছে প্রতিষ্ঠানটির।

মহানগরীর ভদ্রা এলাকায় কথা হয়, স্কুটি ভাড়া নেওয়া আসিফ জাকারিয়ার সঙ্গে। তিনি বলেন, এটি একদমই ব্যতিক্রমী সার্ভিস। এর আগে শহরে এ ধরনের কোনো সার্ভিস ছিল না। যাদের বাইক আছে তারা অনায়াসে যেখানে সেখানে যাতায়াত করতে পারেন। কিন্তু যাদের বাইক নেই তাদের জন্য এ স্কুটি সার্ভিস অবশ্যই অতুলনীয়। তবে মিনিট হিসেবে না করে ঘণ্টা হিসেবে এই ভাড়ার পরিমাণ আরেকটু কমানো গেলে ভালো হতো বলেও মন্তব্য করেন নতুন এই সেবাগ্রহীতা।

‘রাজশাহী স্কুট লিমিটেড’ নামের এই প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজিং ডাইরেক্টর আবদুল্লাহ আল নোমান জানান, মাত্র দুই দিন হলো এই নতুন সার্ভিস চালু করা হয়েছে। তবে প্রথম দিন থেকেই শহরের সাধারণ মানুষের মধ্যে এই স্কুটি শেয়ারিং সার্ভিস নিয়ে বেশ আগ্রহ তৈরি হয়েছে। ব্যাটারিচালিত স্কুটিতে দুজন চলাচলের সুযোগ পাচ্ছেন। স্কুটিগুলো প্রতি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৩৫ কিলোমিটার গতিতে ছুটতে পারে। আর এক চার্জে চলবে ৭০ কিলোমিটার পর্যন্ত।