মঙ্গলবার, ২৯ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

নগরীতে রঙিন পাখির মেলা

মহিউদ্দিন মোল্লা, কুমিল্লা

নগরীতে রঙিন পাখির মেলা

কুমিল্লা নগরীতে বাড়ছে শৌখিন পশু ও পাখি পালনকারী। সঙ্গে রয়েছে অ্যাকুরিয়ামে মাছ চাষ। পশুপাখির প্রতি মানুষের ভালোবাসা সভ্যতার ঊষালগ্ন থেকেই রয়েছে। এতে তরুণ সমাজ মাদক, ভার্চুয়াল ভাইরাসসহ খারাপ কাজ থেকে নিজেকে দূরে রাখতে পারবে।

কুমিল্লা নগরীতে ১০ বছর আগে দুটি পাখি বিক্রির দোকান ছিল। বর্তমানে ১২টির বেশি। নগরীর নিউমার্কেট, চকবাজার, নজরুল এভিনিউ ও ছোটরা এলাকায় রয়েছে এসব দোকান। ছোটরায় রয়েছে লাকী বার্ড হাউস নামের একটি দোকান। আবেদ হোসেন ও তার পিতা জাহাঙ্গীর হোসেন দোকানটি চালান। দোকানের খাঁচায় দেখা যায়, রঙিন পাখির মেলা। কিচিরমিচির শব্দে মুখর চারপাশ। অ্যাকুরিয়ামে বর্ণিল মাছ ঘুরে বেড়াচ্ছে। খরগোশকে দেওয়া হচ্ছে সবুজ ঘাস। আবেদ হোসেন বলেন, তার পাখি পোষার খুব শখ ছিল। বাসায় কবুতরসহ অন্যান্য পাখি পালতেন। ১০ বছর আগে ছোটরায় পাখির দোকান দেন। তার কাছে ২৫ প্রজাতির পাখি রয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য-লাভ বার্ড, ককোটেল, জাভা, বাজিগর, ডায়মন্ড ঘুঘু ও ঘুঘু। কবুতরের মধ্যে রয়েছে গিরিবাজ, সিরাজ, বিউটিসহ বিভিন্ন প্রজাতি। রয়েছে গোল্ডফিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। আছে কোয়েল ও খরগোশ। রাজশাহী, বগুড়া, খুলনা ও কুষ্টিয়া থেকে তারা পাখি কিনে আনেন। ক্রেতা ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার শশীদল এলাকার সাকিবুল হাসান রাকিব বলেন, অ্যাকুরিয়ামের জন্য মাছ কিনলাম। বাসার ছোটদের শখ মেটাতে এটা কিনতে হলো।

কাপ্তান বাজারের বাসিন্দা তরুণ আহসান শাহরিয়ার বলেন, তিনি বাজিগর পাখি পালন করেন। পাখির কিচিরমিচির শব্দে তার ঘুম ভাঙে। সকালের এ বিষয়টি তার দারুণ লাগে। কুমিল্লার সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব জহিরুল হক দুলাল বলেন, গ্রামের মানুষ এখনো তার প্রয়োজনে পশুপাখি পালন করেন। নগরীতে সেই সুযোগ কম। অনেকে শখ করে খাঁচায় পাখি ও অ্যাকুরিয়ামে মাছ চাষ করেন। এতে তারা আনন্দ পান। এটিকে সুষ্ঠু বিনোদনের একটি মাধ্যমও বলা যেতে পারে। এটা সচেতনভাবে করা প্রয়োজন, যাতে পশুপাখির ক্ষতি না হয়। 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর