শিরোনাম
মঙ্গলবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

এক কালভার্টেই লাখো মানুষের দুর্ভোগ

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম 

এক কালভার্টেই লাখো মানুষের দুর্ভোগ

চট্টগ্রাম নগরের মুরাদপুর মোড় থেকেই পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি এবং উত্তর চট্টগ্রামের হাটহাজারী, ফটিকছড়ি, রাউজান ও রাঙ্গুনিয়া উপজেলার মানুষ প্রতিদিন শহরে যাতায়াত করে। এর সঙ্গে আছে নগরের অন্তত চার-পাঁচটি ওয়ার্ডের মানুষের চলাচল। প্রতিদিন প্রায় লাখো মানুষের যাতায়াত এ মোড় দিয়ে। এমন ব্যস্ত ও জরুরি সড়কে একটি কালভার্ট নির্মাণ হলেও সংযোগ সড়ক নির্মাণ হয়নি। ফলে গত সাত মাস ধরে চরম দুর্ভোগ-ভোগান্তি নিয়ে চলতে হচ্ছে। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) কালভার্টটি নির্মাণ করছে। কালভার্টের দৈর্ঘ্য ১৪ মিটার, প্রস্থ ৮ মিটার।

জানা যায়, ‘চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে খাল পুনর্খনন, সম্প্রসারণ, সংস্কার ও উন্নয়ন’ প্রকল্পের আওতায় গত ১৭ জানুয়ারি মুরাদপুর মোড়ের কালভার্টটি ভেঙে নতুন করে নির্মাণের কাজ শুরু হয়। দুই মাসের মধ্যে কাজ শেষ করে যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সাত মাস পার হলেও এখনো পূর্ণাঙ্গরূপে নির্মাণকাজ শেষ হয়নি। কালভার্ট নির্মাণ করা হলেও দুই পাশের সড়কের সঙ্গে যান চলাচলের জন্য উপযুক্ত করা হয়নি। এ কারণে চলতে পারে না যানবাহন, দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে পথচারীদের। 

স্থানীয় বাসিন্দা ব্যবসায়ী মাহবুবুল আলম বলেন, এই কালভার্টের ওপর দিয়ে দৈনিক লাখো মানুষ চলাচল করে। গত সাতটি মাস ধরে মানুষ কষ্ট পাচ্ছে। আর এক মাস পরেই অনুষ্ঠিত হবে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে বিশ্বের বৃহত্তম জশনে জুলুস। জুলুসটি এই মোড় দিয়ে বের হয় এবং এই মোড় দিয়েই সুন্নিয়া মাদরাসা ময়দানে প্রবেশ করে। নির্মাণকাজ শেষ না হলে ওই দিন লাখ লাখ মানুষকে সীমাহীন কষ্টের মুখোমুখি হতে হবে। আমাদের দাবি, দ্রুত নির্মাণ কাজ শেষ করে চলাচলের জন্য এটি উন্মুক্ত করে দেওয়া হোক।

সিডিএর প্রধান প্রকৌশলী হাসান বিন শামস বলেন, মুরাদপুর কালভার্ট নির্মাণকাজ ঠিক সময়ে শেষ হয়েছে। কিন্তু কালভার্টের নিচে ওয়াসার কিছু পাইপ লাইন ছিল। এর সঙ্গে গ্যাস, বিদ্যুৎ ও বিটিসিএলের কিছু পোল ছিল। এগুলো সরাতে বেশ সময় লেগেছে। ফলে কাজটি যথাসময়ে শেষ হয়নি। এখন সংযোগ সড়কসহ প্রয়োজনীয় কাজ দ্রুতগতিতে চলছে। আশা করি, আগামী মাসের প্রথম দিকেই পুরো কাজ শেষ করে যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া যাবে।

সরেজমিন দেখা যায়, কালভার্টটির নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। কিন্তু দুই পাশের সড়কের সঙ্গে যান চলাচলের মতো উপযুক্ত করা হয়নি। সংযোগ সড়ক তৈরি না হওয়ায় যান চলাচল করতে পারছে না। পথচারীদের চলতে হচ্ছে কষ্ট করে। বৃষ্টি হওয়ায় চলমান যাতায়াত পথও বেহাল হয়ে যায়। তবে গত কয়েক দিন ধরে এখানকার সড়কের সংস্কার কাজ করছেন শ্রমিকরা।

সর্বশেষ খবর