মঙ্গলবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

বছরজুড়ে ডুবে থাকে রাস্তা

আফরিদ সাররাফ আলী

বছরজুড়ে ডুবে থাকে রাস্তা

বর্ষা গিয়ে ঋতুতে শরৎ এলেও সরেনি রাজধানীর দক্ষিণখানের শাহ কবির মাজার রোডের জমে থাকা পানি। বছরজুড়ে জলজটে এই এলাকার মানুষের নিত্য ভোগান্তি সড়ক ঘিরে। জলজটের সঙ্গে খানাখন্দে ভরা রাস্তা বিপত্তি বাড়িয়ে দেয় আরও কয়েক গুণ। রাজধানীর উত্তরা আজমপুর রেল গেটের পাশেই শাহ কবির মাজার রোডের অবস্থান। নোয়াপাড়া, মোল্লাপাড়া, চালাবনসহ পাশের বেশ কয়েকটি এলাকার অসংখ্য মানুষ প্রতিদিন এই রাস্তা ব্যবহার করেন। এলাকার বাসিন্দাদের স্বাভাবিক চলাফেরায় সমস্যা তৈরি করছে এই সড়কের জলজট।  সরেজমিনে দেখা যায়, প্রচণ্ড রোদের মাঝেও রাস্তাটির কয়েক জায়গায় পানি জমে আছে। বৃষ্টি না হলেও গোড়ালি পর্যন্ত পানি জমে রয়েছে কয়েকটি স্থানে। রাস্তাটির তুরাগ সিএনজি ফিলিং স্টেশনের পাশে পানির পরিমাণ বেশি। তার পাশেই রয়েছে আর্ক হাসপাতাল। কিছু জায়গায় ড্রেন উপচে রাস্তায় পানি জমে আছে। রাস্তাটির অনেক স্থানেই মানুষের পক্ষে হেঁটে চলাচল করা বেশ কষ্টকর। বাড়িঘর ও দোকানগুলো রাস্তা থেকে এক-দুই ফুট উঁচু করে রাখা হয়েছে যাতে পানি প্রবেশ না করে। অনেক স্থানে এলাকাবাসী পানি সরিয়ে নেওয়ার জন্য মেশিন ব্যবহার করেন।

রাস্তার অনেক জায়গাতেই বালুর বস্তা ফেলে রাখা হয়েছে যাতে বাড়ি বা দোকানের ভেতরে পানি প্রবেশ না করে। রাস্তার একটি স্থানে আবার ড্রেন তৈরির জন্য খুঁড়ে রাখা হচ্ছে। এলাকাবাসী জানান, এই রাস্তার পানি গত তিন-চার বছরেও সরেনি। বাসাবাড়িতে ব্যবহার করা ময়লা পানি এসে রাস্তায় জমা হয়। এলাকার বাসিন্দা মো. জালাল বলেন, এখানে পানি নামার পর্যাপ্ত জায়গা নেই। টিপটিপ বৃষ্টি হলেও পানি জমে যায়। বর্ষাকালে এখানে হাঁটু সমান পানি হয়ে যায়। 

এ ব্যাপারে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৫০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ডি. এম. শামিম বলেন, পানি নিষ্কাশনের জায়গা না থাকায় রাস্তায় জমে থাকছে। ড্রেন সংস্কারের কাজ চলছে। ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোতালেব মিয়া বলেন, ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়নের কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। ড্রেনটি তুরাগ নদী পর্যন্ত বিস্তৃত হবে। আশা করি, এক মাসের মধ্যে জলজট সমস্যার সমাধান হবে।

সর্বশেষ খবর