মঙ্গলবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

নগর রাঙিয়ে যান তিনি

মহিউদ্দিন মোল্লা, কুমিল্লা

নগর রাঙিয়ে যান তিনি

তিনি নিজে যেমন সাজতে পছন্দ করেন, তার চারপাশকেও তেমনি সাজাতে পছন্দ করেন। নগরীর প্রথম ও একমাত্র নারী ইন্টেরিয়র ডিজাইনার ফারাহ্ নাজ ইসলাম শিলা দীর্ঘদিন ধরে নগর রাঙিয়ে যাচ্ছেন।

মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে। অনার্সে পড়ার সময় বিয়ের পিঁড়িতে বসেন। স্বামী-সংসার নিয়ে আনন্দে থইথই চারপাশ। বিয়ের কয়েক বছর পর স্বামী মারা যান। ২০১০-১১ সালে তিনি ইন্টেরিয়র ডিজাইনের ওপর কোর্স করে হতাশা ঝেড়ে উঠে দাঁড়ান। প্রথমে নিজের বাবার বাসার ডিজাইন করেন। সবার পছন্দ হয়, প্রতিবেশীরা দেখতে আসেন। ২০১৬ সালে বাসার স্টোর রুমকে বেছে নেন। রুমটি পরিচ্ছন্নের পর ডিজাইন করেন। সেখানে কাপড়ের ব্যবসা খোলেন। পরিচিতদের জানান, অনলাইনে প্রচার করেন। টুকটাক বিক্রি শুরু হয়। সঙ্গে পরিচিতদের বাসাবাড়িতে ইন্টেরিয়র ডিজাইনের কাজ করেন। আত্মবিশ্বাস বাড়ে কুমিল্লার একটি হাসপাতালের কাজ করে। তারা বাসায় মোটা অঙ্কের সম্মানী পাঠান। এতে তার আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায়। তিনি ৮/১০তলা হেঁটে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাজ করতে থাকেন। জমানো টাকা, ডিজাইনের আয়ের টাকা দিয়ে তিনি ২০২২ সালে বড় ব্যবসা খোলেন। নগরীর বড় মার্কেটে এখন তার সৃষ্টিশীলা নামের প্রতিষ্ঠান। তার প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন ১২ জনের বেশি মেয়ে। পাশাপাশি তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছেন।

নারী উদ্যোক্তা ফারাহ্ নাজ ইসলাম শিলা জানান, তিনি বাসার স্টোর রুম থেকে যাত্রা করেছেন। আজ বড় পরিসরে কাজ করছেন। তিনি দরদ দিয়ে ডিজাইন করেন। যেন মালিকের পুরাতন জিনিসটা ফেলে দিতে না হয়। কম স্থানে অনেক জিনিস যেন স্থান দিতে পারেন সেই চেষ্টা করেন। সঙ্গে অবশ্যই দৃষ্টিনন্দনের বিষয়টি থাকবে।

মা ও শিশু কল্যাণ ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী দিলনাশিঁ মোহসেন এবং কুমিল্লা বীরচন্দ্র গণ পাঠাগার ও নগর মিলনায়তনের কাউন্সিলর অ্যাডভোকেট তাসলিমা বেগম বলেন, শিলা একজন উদ্যোমী নারী। তিনি ভেঙে না পড়ে এগিয়ে গেছেন। একাগ্রতা ও নিষ্ঠা তাকে এগিয়ে দিয়েছে। রেডিয়েন্ট ইনস্টিটিউট অব ডিজাইনের চেয়ারপারসন গুলসান নাসরিন চৌধুরী বলেন, আমাদের ছাত্রী শিলা পরিশ্রমী। সে যে কোনো কাজ মমতা দিয়ে করে বলে এগিয়ে গেছে।

সর্বশেষ খবর