শিরোনাম
মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

ধারণক্ষমতা কমেছে শ্যামাসুন্দরীর

নজরুল মৃধা, রংপুর

ধারণক্ষমতা কমেছে শ্যামাসুন্দরীর

রংপুর নগরীর ঐতিহ্যবাহী শ্যামাসুন্দরী খালের পানির ধারণক্ষমতা কমে গেছে ভরাট হয়ে যাওয়ার কারণে। ভারী বৃষ্টিপাত হলে শ্যামার দুই কূল উপচে আশপাশের বাড়িতে পানি ঢুকে চরম দুর্ভোগের সৃষ্টি করছে। অথচ শ্যামাসুন্দরী দখলমুক্ত করে পুনঃখননের দাবি উঠলেও তা উপেক্ষিত রয়ে গেছে। গত রবিবার ভারী বৃষ্টিপাতে শ্যামার দুই কূল প্লাবিত হয়ে ভোগান্তি বাড়িয়েছে স্থানীয়দের। বৃষ্টির পানি এবং খালে আগে থাকা দূষিত পানির দুর্গন্ধে খালের পাশ দিয়ে নগরবাসীকে নাক ধরে যেতে হয়। এনিয়ে সচেতন মহলের ক্ষোভ বাড়ছে।

রংপুর নগরীর জলাবদ্ধতা দূর এবং ম্যালেরিয়ার হাত থেকে নগরবাসীকে বাঁচাতে পৌরসভার প্রথম চেয়ারম্যান ও ডিমলার রাজা জানকী বল্লভ সেন ১৮৯০ সালে তার মা চৌধুরানী শ্যামাসুন্দরী দেবীর নামে ক্যানেলটি পুনঃ খনন করেন। ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ শ্যামাসুন্দরী খালের সম্মুখে নগরীর কেলাবন্দের ঘাঘট নদী। এটি ঘাঘট নদী থেকে শুরু করে ধাপ পাশারী পাড়া, কেরানীপাড়া, মুন্সিপাড়া, ইঞ্জিনিয়ারপাড়া, গোমস্তাপাড়া, সেনপাড়া, মুলাটোল, তেঁতুলতলা, নূরপুর, বৈরাগীপাড়া হয়ে মাহিগঞ্জের মরা ঘাঘটের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় খালটি নাব্য হারিয়েছে। এর দুই ধারে অবৈধভাবে দখল হয়ে যাওয়ায় সংকীর্ণ হয়ে পড়েছে খালটি। সামান্য বৃষ্টিতেই গোটা শহরে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। ১১৭ বছর পর ২০০৭ সালে পৌরসভা খালটি সংস্কারের উদ্যোগ নেয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত সংস্কার কাজ শেষ না হওয়ায় নগরবাসীর হতাশা বাড়ছে। আবার যেখানে সংস্কার হয়েছে তা ধসে গিয়ে এখন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।

করোনার প্রকোপের আগে খালের উৎসমুখ থেকে মাহিগঞ্জ পাটবাড়ি পর্যন্ত খালের দুই পাশের প্রায় ১০ কিলোমিটার সংস্কার কাজ শুরু হয়। এ জন্য মৌজাভিত্তিক কেল্লাবন্দ, রাধাবল্লভ, আলমনগর, রঘুনাথগঞ্জ ও ভগি এলাকার ১৭০ জনকে অবৈধ দখলদার হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। সিটি করপোরেশন বলছে ১৭০ অবৈধ দখলদারের মধ্যে ১১ জন আপত্তি দিয়েছে। তাদের আপত্তির কারণে উচ্ছেদ অভিযান হয়নি। দীর্ঘ দিন থেকে সংস্কার না করায় খালটি নাব্য হারিয়ে ফেলে। এর দুই ধারে অবৈধভাবে দখল হয়ে যাওয়ায় সংকীর্ণ হয়ে পড়ে খালটি। সামান্য বৃষ্টিতেই গোটা শহরে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা।

মহানগর সুজনের সভাপতি ফখরুল আনাম বেঞ্জু বলেন, বৃষ্টিতে শ্যামাসুন্দরী খাল ওভারফ্লো হয়ে গোমস্তাপাড়া, ইঞ্জিনিয়ার পাড়াসহ শহরের বিস্তীর্ণ এলাকা ডুবে যায়। বিগত দিনে শ্যামাসুন্দরী উন্নয়নে একটি কোর কমিটি করা হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি।

সর্বশেষ খবর