মঙ্গলবার, ৩ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

বেহাল সড়কে কাহিল নাগরিক

নগরের অনেক সড়কই এখন বেহাল। উত্তর কাট্টলী ইশান মহাজন রোড, কালীবাড়ী এলাকার পুরো রাস্তা গাড়ি নিয়ে যাওয়ার উপযোগী নেই, বৃষ্টিতে ভেঙে গেছে। মাদারবাড়ী রেললাইন থেকে বারিক বিল্ডিং মোড় পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশ

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

বেহাল সড়কে কাহিল নাগরিক

চলতি বর্ষা মৌসুমে চট্টগ্রাম নগরের ৬০ শতাংশ সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) সড়কগুলো মেরামতে সরকারের কাছে ৬০ কোটি টাকা চেয়েছিল। কিন্তু সে টাকা মেলেনি। তবে চসিক নিজস্ব অর্থায়নে নিয়মিত সড়ক মেরামত-সংস্কার করলেও তা খুবই অপ্রতুল। ক্ষতবিক্ষত সড়ক দিয়ে চলতে গিয়ে দুর্ভোগে পড়ছেন নগরবাসী। 

নগরবাসীর অভিযোগ, প্রতি বছরই বর্ষা আসে, প্রতি বছরই সড়কগুলো নষ্ট হয়। কিন্তু বন্যা বা জলাবদ্ধতার বিষয়টি বিবেচনায় রেখে সড়কগুলোর টেকসই উন্নয়ন হয় না। ফলে বছর না যেতেই মেরামত করা সড়কগুলো ফের ক্ষতবিক্ষত হয়। জলে যায় টাকাগুলো।

চসিকের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মনিরুল হুদা বলেন, বর্ষায় নগরের অনেক সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ সড়ক মেরামতে সরকারের কাছে ৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ চাইলেও তা পাওয়া যায়নি। চসিকের নিজস্ব অর্থায়নে নিয়মিতই সড়ক সংস্কারের কাজ চলমান। নগরের অনেক সড়কই এখন বেহাল। উত্তর কাট্টলী ইশান মহাজন রোড, কালীবাড়ী এলাকার পুরো রাস্তা গাড়ি নিয়ে যাওয়ার উপযোগী নেই, বৃষ্টিতে ভেঙে গেছে। মাদারবাড়ী রেললাইন থেকে বারিক বিল্ডিং মোড় পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশ। এ সড়কে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। সিটি কলেজ থেকে সদরঘাট পর্যন্ত পুরো সড়ক বেহাল, বহদ্দারহাট হাজী চান্দ মিয়া সও. রোড, মুহাম্মদপুর ও খাতিবের হাট সড়ক, হাজীরপুল সড়ক, শমসেরপাড়া সড়ক। ছয় বছর ধরে সড়কগুলোর অবস্থা খুবই নাজুক। 

চসিকের প্রকৌশল বিভাগ জানায়, টানা পাঁচ দিনের বৃষ্টিতে এবার নগরের ৪০ শতাংশ এলাকা ডুবে যায়। অনেক এলাকায় পানি ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত জমে ছিল। পানির নিচে থাকায় নগরের প্রায় ৫১ কিলোমিটার সড়ক নষ্ট হয়। এর সঙ্গে ক্ষতি হয় আরও দুই দশমিক ১৯ কিমি নর্দমা ও ১ দশমিক ৯৯ কিমি ফুটপাত। ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক, ফুটপাত ও নর্দমা সংস্কারে চসিক ৬০ কোটি টাকা দরকার বলে মনে করছে।

সর্বশেষ খবর