মঙ্গলবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

হাসপাতালে সেবাবঞ্চিত মানুষ

টঙ্গীর আশপাশে সরকারি কোনো হাসপাতাল না থাকায় স্বল্প আয়ের লাখ লাখ মানুষের চিকিৎসাসেবার একমাত্র অবলম্বন টঙ্গী আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতাল

আফজাল, টঙ্গী

হাসপাতালে সেবাবঞ্চিত মানুষ

গাজীপুরের টঙ্গী স্টেশন রোড এলাকায় অবস্থিত ২৫০ শয্যার টঙ্গী আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে সেবাবঞ্চিত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। চিকিৎসকের দায়িত্বে অবহেলা, রোগীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার, ওষুধ কোম্পানির কাছ থেকে উপহার সামগ্রী নিয়ে কোম্পানির লোকজনের সঙ্গে ঘণ্টার পর ঘণ্টা খোশগল্প করা নিয়মিত ঘটনা। ডেঙ্গু পরীক্ষা নিয়ে নাটক, টিকিট নিয়ে নানা অনিয়ম, হাসপাতাল ঘিরে দালালের আখড়া সব মিলে হযবরল অবস্থা। আবার জরুরি বিভাগের ব্রাদাররা টাকা ছাড়া কাজ করে না। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কঠোর হস্তক্ষেপ না থাকায় হাসপাতালে আসা রোগীরা পরিপূর্ণ চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

টঙ্গীর আশপাশে সরকারি কোনো হাসপাতাল না থাকায় স্বল্প আয়ের লাখ লাখ মানুষের চিকিৎসা সেবার একমাত্র অবলম্বন টঙ্গী আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতাল। অথচ এই হাসপাতালে এসে বিভিন্ন কারণে চিকিৎসা না নিয়েই ফিরে যাচ্ছেন অনেকে। অভিযোগ রয়েছে, হাসপাতালের অনেক চিকিৎসক রোগীদের সময় না দিয়ে বেশির ভাগ সময় ওষুধ কোম্পানির লোকজনের সঙ্গে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় দিচ্ছেন। এতে রোগীরা লাইনে দাঁড়িয়ে দীর্ঘক্ষণ সময় ক্ষেপণ করছেন। আবার অনেকেই চিকিৎসাপত্র না নিয়েই চলে যাচ্ছেন। হাসপাতালে কিংবা জরুরি বিভাগেও একই চিত্র। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আতিক নামের এক রোগী জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ফারুকের কাছে যান চিকিৎসা নিতে। এ সময় ওই চিকিৎসকের রুমে  ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তার ফারুক বলেন, এই বের হন, পরে আসেন। দেখছেন না কথা বলছি। চিকিৎসকের এমন আচরণ দেখে চিকিৎসাপত্র না নিয়ে চলে যান রোগী। পরে বিষয়টি হাসপাতালের আরএমওর কাছে অভিযোগ করেন তিনি। হাসপাতালে আসা এক রোগী তাছলিমা আক্তার বলেন, রোগীরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে আছি, আর ডাক্তাররা রুমের ভিতর ওষুধ কোম্পানির লোকদের সঙ্গে গল্প করছেন।

এ বিষয়ে হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) মো. তারেক বলেন, চিকিৎসকদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। টঙ্গী শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক (উপ-পরিচালক) ডা. মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, কেন যে ডাক্তাররা রোগীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন বুঝি না। খারাপ ব্যবহার করার কারণে এসব ডাক্তারের চাকরি চলে যাওয়া উচিত। এই শাস্তিটি দেওয়া হলে হয়তো এমন হতো না। ডাক্তারদের সঙ্গে মিটিং করে বিষয়টি আলোচনা করব।

সর্বশেষ খবর