মঙ্গলবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

ভিত্তিপ্রস্তরের ১৪ বছরে নগর ভবন নির্মাণ শুরু

২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে পুনরায় নির্মাণকাজ শুরু হয়। তখন পাইলিংসহ আনুষঙ্গিক কিছু কাজও হয়েছিল। পরে নানা জটিলতায় নির্মাণকাজ বন্ধ হয়ে যায়

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

ভিত্তিপ্রস্তরের ১৪ বছরে নগর ভবন নির্মাণ শুরু

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) নগর ভবনটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয় ২০১০ সালের ১১ মার্চ। ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন তৎকালীন মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী। এরপর দুজন মেয়রও দায়িত্ব পালন করেছিলেন। কিন্তু নগর ভবন নির্মাণ করতে পারেননি। অবশেষে ১৪ বছর পর চসিক ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করা হচ্ছে। এখন পুরাতন ভবন ভেঙে নতুন ভবন নির্মাণের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। এর আগে ২০১০ সালের ১০ মার্চ ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে নগর ভবন নির্মাণে কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কাজ শুরু হয়নি। ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে পুনরায় নির্মাণকাজ শুরু হয়। তখন পাইলিংসহ আনুষঙ্গিক কিছু কাজও হয়েছিল। পরে নানা জটিলতায় নির্মাণকাজ বন্ধ হয়ে যায়। 

সাবেক মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর পর থেকে চসিক কোনো আয়বর্ধক প্রকল্প গ্রহণ করতে পারেনি। ফলে অর্থ সংকটে চসিক নিজস্ব ভবনটিও নির্মাণ করতে পারেনি। চসিক সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালে ১৫ হাজার বর্গফুট জায়গায় ২০তলা নগর ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। ২০১০ সালের ১১ মার্চ তৎকালীন মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী নগর ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন। প্রকল্প ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছিল ৪৮ কোটি ৮৪ লাখ ৫৬ হাজার ১৯ টাকা। তবে এখন প্রথম দফায় নতুন নগর ভবন নির্মাণে ব্যয় করা হবে ২৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা। ধাপে ধাপে পুরো নগর ভবন নির্মাণ করা হবে। ইতোমধ্যে পুরনো ছয়তলা ভবনটি ভাঙার কাজ শুরু করা হয়েছে। ৭০ লাখ ১০ হাজার টাকায় ভবনটি ভাঙা হচ্ছে। আগামী ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে পুরাতন ভবন ভাঙার কাজটি শেষ করার নির্দেশনা দেয় চসিক।

চসিকের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম বলেন, নতুন নগর ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে পুুরাতন ভবন ভাঙার কাজ শুরু হয়। আগামী ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে ভাঙার কাজ শেষ করতে বলা হয়েছে। পুরাতন ভবন ভাঙার কাজ শেষ হলেই নতুন ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হবে। প্রথম ধাপে সাড়ে ২৮ কোটি টাকার কাজ হবে। ধাপে ধাপে পুরো নগর ভবন করা হবে। তবে আগের নকশাতেই নগর ভবন নির্মিত হবে।

জানা যায়, গত দুই সপ্তাহ আগে পুরাতন ভবন ভাঙার কাজ শুরু হয়। বর্তমানে প্রতিদিন প্রায় ৩০ থেকে ৪০ জন শ্রমিক কাজ করছেন। তাছাড়া ভাঙার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে হেমারিং স্ক্যাভেটার। ভবনের পুরাতন দরজা, জানালাসহ আউট ফিটিং করা পণ্যসামগ্রীগুলো খুলে ফেলা হয়েছে। শ্রমিকরা কাঠ, লোহা, ইটের টুকরোর আলাদা স্তূপ করছেন। ছয় তলা ভবনের ছাদ থেকে ভেঙে আসছে।

সর্বশেষ খবর