মঙ্গলবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

গাজীপুরে নিয়ন্ত্রণহীন অটোরিকশা

আফজাল, টঙ্গী

গাজীপুরে নিয়ন্ত্রণহীন অটোরিকশা

গাজীপুরে নিয়ন্ত্রণহীন অটোরিকশা ও ইজিবাইক। যত্রতত্র স্ট্যান্ড ও খেয়ালখুশি চলাচলের কারণে জনজীবন অনেকটাই থমকে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। আবার এসব গাড়ি কেড়ে নিচ্ছে অনেকের প্রাণ। নগরীর শাখা সড়কে তীব্র যানজটের একটাই কারণ ধীরগতিতে চলা এসব গাড়ি। যানজটের এই সমস্যা নিয়ে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেই জেলা প্রশাসন, পুলিশ, সিটি করপোরেশন ও আটোচালক সমিতির নেতাদের। মাঝে মধ্যে পুলিশ অভিযান চালিয়ে কিছু গাড়ি আটকে ডাম্পিং করতে দেখা গেলেও তা আবার আগের মতোই।

গাজীপুরে নগরজুড়ে নিয়ন্ত্রণহীন লাখ লাখ অটোরিকশা ও ইজিবাইক। লাইসেন্সবিহীন এসব ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক ও অটোরিকশার অত্যাচারে অতিষ্ঠ জনজীবন। সড়কের দিকে তাকালে শুধু অটোরিকশা আর ইজিবাইক। নগরজুড়ে কত গাড়ি চলাচল করছে এ নিয়ে নেই কোনো সুনির্দিষ্ট পরিসংখ্যান। আবার গাড়ির মালিকরা কৌশলে বিদ্যুৎ চুরিও করছে নীরবে। সব মিলে নগরীতে বিশৃঙ্খল অবস্থা। অন্যদিকে একটি চক্র সড়কের জায়গা দখল করে অটোরিকশা ও ইজিবাইক গাড়ির স্ট্যান্ড বসিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এই টাকার একাংশ যাচ্ছে দলীয় নেতা-কর্মী ও পুলিশের পকেটে। ট্রাফিক পুলিশের আটক বাণিজ্য তো আছেই। যে কারণে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরছে না বলে মন্তব্য করছেন এলাকাবাসী।

টঙ্গী স্টেশন রোড এলাকার এক ব্যবসায়ী আতিক হাসান বলেন, ট্রাফিক পুলিশ ইজিবাইক ও অটোরিকশা আটক করে রেকার বিলের নামে প্রতিটি গাড়ি থেকে ৫০০ ও ১ হাজার টাকা নিয়ে ছেড়ে দেয়। পুলিশ আটক বাণিজ্যে দিন পার করে। এদিকে নগরীর মিরেরবাজার এলাকার এক বাসিন্দা আতিক মাহমুদ বলেন, উড়াল সেতুর নিচে সড়কের জায়গা দখল করে মোক্তার হোসেন ও সোহেল চিশতি, কামরুজ্জামান কামু স্থানীয় থানা পুলিশকে ম্যানেজ করে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক ও অটোরিকশার স্ট্যান্ড বসিয়ে প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। তবে তারা স্ট্যান্ড বসিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেন।

টঙ্গী দত্তপাড়া এলাকায় এক পথচারী একটি প্রতিষ্ঠানের নারী কর্মকর্তা নিশাত জাহান পলি বলেন, সড়কে অটোরিকশা ও ইজিবাইকের রাজত্ব এখন। এসব গাড়ি নিয়ন্ত্রণহীন থাকায় জনসাধারণের সীমাহীন দুর্ভোগ। এ বিষয়ে টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, ঊর্ধŸতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে এর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গাজীপুর মেট্রোপলিটনের উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) মো. মাহবুব-উজ-জামান বলেন, এসব গাড়ি যারা নিয়ন্ত্রণ করেন তাদের সঙ্গে বেশ কয়েকবার আলোচনা করা হয়েছে। তাদের বললে কিছু দিন ভালো থাকে, পরে আবার সেই আগের মতোই হয়ে যায়। তবে বিষয়টি নিয়ে সিটি করপোরেশনকে এগিয়ে আসতে হবে।

সর্বশেষ খবর