মঙ্গলবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

নীরব সড়ক কার্যকর হয়নি

কাজী শাহেদ, রাজশাহী

নীরব সড়ক কার্যকর হয়নি

পরিচ্ছন্ন ও নির্মল বাতাসের নগরী হিসেবে পরিচিত রাজশাহীর মানুষ এখন ভুগছে শব্দদূষণে। সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে নগরীর দুটি এলাকার সড়ক নীরব ঘোষণা দেওয়া হলেও তা কার্যকর হয়নি। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত যানবাহনের তীব্র হর্নের শব্দে অতিষ্ঠ নগরবাসী। এ নিয়ে সিটি করপোরেশন ও পুলিশ প্রশাসন উদ্বিগ্ন। রাজশাহী মহানগরীর দুটি এলাকাকে নীরব এলাকা ঘোষণা করা হয়েছে। এলাকা দুটি হলো- রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও রাজশাহী জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কার্যালয় এবং আদালতপাড়া। এলাকা দুটিতে গাড়ির হর্ন বাজানো নিষেধ। ঠিকই হর্ন বাজাচ্ছে নীরব এলাকায়। নীরব এলাকায় হর্ন বাজালে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের। অথচ রাজশাহী মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগে এ ব্যাপারে কোনো মামলা হয়নি। জেলা প্রশাসকের কার্যালয় এলাকায় একটি সাইনবোর্ড লাগিয়েছে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ। এতে লেখা আছে, ‘আদালত এলাকা হর্ন বাজানো নিষেধ’। আর ২০২০ সালের ডিসেম্বরে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্পের আওতায় রাজশাহী সিটি করপোরেশন এবং পরিবেশ অধিদফতর যৌথভাবে রামেক হাসপাতালের আশপাশের এলাকাকে ‘নীরব এলাকা’ হিসেবে ঘোষণা করে। কিন্তু পরিবেশ অধিদফতর এবং পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় রাজশাহী শহরে একটি জরিপ চালিয়ে দেখেছে, নীরব এলাকায় মাত্রার দ্বিগুণেরও বেশি শব্দ। রাজশাহী শহরের ১৫টি স্থানের বর্তমান পরিস্থিতি জানা গেছে। স্থানগুলোর প্রতিটিতেই শব্দের মাত্রা শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা ২০০৬ নির্দেশিত মানমাত্রার চেয়ে দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ। নীরব এলাকায় শব্দের মানমাত্রা দিনে ৫০ এবং রাতে ৪০ ডেসিবল। পরিবেশ অধিদফতরের জরিপে দেখা গেছে, দুটি নীরব এলাকার মধ্যে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের এলাকায় শব্দদূষণের সর্বোচ মাত্রা ১১৯ দশমিক ৪ ডেসিবল। আর সর্বনিম্ন ৫৪ দশমিক ৭ ডেসিবল। দিনে, সন্ধ্যায় ও রাতে এ এলাকায় শব্দের গড় মাত্রা ১২৫ দশমিক ৫ ডেসিবল, যা দ্বিগুণেরও বেশি। রামেক হাসপাতাল এলাকায় গড়ে ১০০ দশমিক ৫ ডেসিবল মাত্রার শব্দ থাকে। ওই জরিপে প্রতিটি স্থানে ১৫ জন করে ব্যক্তির সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা হয়।

জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের একজন কর্মচারী বলেন, অফিসের সামনের রাস্তাটি নীরব এলাকা। সাইনবোর্ডও লাগানো আছে। কিন্তু কখনো কি হর্ন বাজানো বন্ধ হয়েছে? নীরব এলাকায় হর্ন বাজানোর ব্যাপারে জানতে চাইলে আরএমপিও ট্রাফিক বিভাগের উপ-কমিশনার অনির্বাণ চাকমা বলেন, নীরব এলাকায় হর্ন বাজালে ট্রাফিক আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ আছে। তবে এ ধরনের কোনো মামলা হয়নি। অন্যান্য ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের কারণে নিয়মিতই মামলা করা হচ্ছে। জরিমানা আদায় হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর