মেট্রোরেল, বিআরটিসি শাটল বাসের পরে আগামী মার্চে ঢাকা নগর পরিবহনে চালু হবে র্যাপিড পাস। এর ফলে এই পাসের মাধ্যমে যাত্রীরা নির্বিঘ্নে ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি), বাস র্যাপিড ট্রানজিটে (বিআরটি) একটি কার্ডেই সব বিল পরিশোধ করতে পারবেন। এর মাধ্যমে ঢাকার বাসিন্দারা ইউটিলিটি বিল, সড়ক ও সেতুর টোল, সুপারশপে কেনাকাটা, শিক্ষার্থীদের বেতন পরিশোধে ওয়ান স্টপ পেমেন্ট ব্যবস্থার দিকে একধাপ এগিয়ে গেল। র্যাপিড পাস ব্যবহারে বর্তমানে মেট্রোরেলের প্রতি যাত্রায় ১০ শতাংশ ছাড় পাওয়া যাচ্ছে। কার্ডের মূল্য ৪০০ টাকা, এর মধ্যে ২০০ টাকা জামানত, ২০০ টাকা ব্যালেন্স। কার্ডের মেয়াদ আজীবন। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বর্তমানে নির্বাচিত ডাচ-বাংলা ব্যাংকের শাখা থেকে কার্ড ইস্যু বা রিচার্জ করা যাবে। সব মেট্রোরেল স্টেশনের টিকিট অফিস থেকে রিচার্জ করা যাবে।
একই সঙ্গে ১ নভেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বর মাসব্যাপী ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন ব্যস্ততম স্থান, বাসস্টপেজ ও মেট্রোরেল স্টেশনে ‘র্যাপিড পাস’ বিক্রয় করা হচ্ছে। এ বিষয়ে বাস রুট রেশনালাইজেশন প্রকল্পের পরিচালক ধ্রুব আলম বলেন, ১ নভেম্বর থেকে ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে এ পর্যন্ত প্রায় ২ হাজার টিকিট বিক্রি করেছি। র্যাপিড পাসের চাহিদা অনেক। সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয় বলছে, এই স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা পরিবহনের ভাড়া আদায় নিশ্চিত করবে। একই সঙ্গে যাত্রা শুরু ও গন্তব্যের (অরিজিনেশন-ডেস্টিনেশন বা ওডি) ডেটা তৈরি করবে, যা ব্যবহার করে বাস্তবসম্মত কৌশলগত নগর পরিবহন পরিকল্পনা করা সম্ভব হবে।