মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

রাজশাহী এখন উদ্যোক্তার শহর

কাজী শাহেদ, রাজশাহী

রাজশাহী এখন উদ্যোক্তার শহর

উম্মে সালমা সুখী কিছুদিন আগে আয়োজন করেছিলেন উদ্যোক্তা মেলার। তার আহ্বানে সাড়া দিয়ে বহু উদ্যোক্তা তাদের পণ্যের পসরা নিয়ে আসেন মেলায়। এমন আয়োজন এখন বছরজুড়েই চলছে। উদ্যোক্তারা হাজির হচ্ছেন মেলায়। সেখানে তাদের পণ্য বিক্রি বেড়েছে, বাড়ছে উদ্যোক্তার সংখ্যাও।  রাজশাহী অঞ্চলে বিনিয়োগের অপার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও কৃষিভিত্তিক শিল্পায়নে এগিয়ে যাচ্ছে এ অঞ্চল। সঠিক পরিকল্পনা নিলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে রাজশাহী হবে উদ্যোক্তাদের শহর।

রাজশাহী চেম্বারের সহ-সভাপতি সুলতান মাহমুদ সুমন বলেন, গত ১০ বছরে রাজশাহীতে যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ অবকাঠামোতে যে উন্নয়ন হয়েছে, তা দেখে অনেক বিনিয়োগকারী রাজশাহীতে বিনিয়োগ করছেন। গত ছয় মাসে ৩০০ নতুন উদ্যোক্তা আমাদের সদস্য হয়েছেন। তারা লেদার, জুট, অরগানিক ফুড, সরিষার তেল, হ্যান্ড পেইন্ট, ব্লক, বাটিক, বিউটি পারলার, আইটি সেক্টরে ব্যবসা করেন। তিনি বলেন, রাজশাহী শিক্ষা নগরীর সঙ্গে উদ্যোক্তার শহর হিসেবে গড়ে উঠছে।

সুলতান মাহমুদ সুমন আরও বলেন, দেশে বড় যে গ্রুপগুলোর মালিকানা রাজশাহীর স্থানীয়দের, তারা বিনিয়োগের জন্য আসছেন রাজশাহীতে। রাজশাহীতে বিসিক শিল্পনগরী-২ এর আশপাশে অনেক শিল্পপ্রতিষ্ঠান জমি কিনছে। প্রাণ গ্রুপ, পারটেক্স গ্রুপ, স্কয়ার গ্রুপসহ বিভিন্ন বড় বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠান রাজশাহীতে জমি কিনছে। তিনি বলেন, আমাদের সন্তানরা পড়াশোনা শেষ করে রাজশাহীতেই উদ্যোক্তা হওয়ার চেষ্টা করছে।

আগামী তিন থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে উদ্যোক্তাদের নগর হিসেবেও চিনবে রাজশাহীকে। রাজশাহী মহিলা চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি রোজেটি নাজনীন বলেন, রাজশাহীর নারী ও পুরুষ উভয়ই উদ্যোক্তা হতে চেষ্টা করছেন। নারীরা এগিয়ে আসছেন। তারা বাড়িতে বসে কাজ করছেন। নারীরা ঠিকাদারি থেকে শুরু করে জুট মিলে কাজ করছেন, কোল্ড স্টোরেজ তৈরি করছেন। তিনজন কোল্ড স্টোরেজ মালিক আছেন আমাদের চেম্বারে। তিনি বলেন, নারীরা তাদের উৎপাদিত হ্যান্ডিক্রাফটসহ বিভিন্ন পণ্য বাজারজাত করার জন্য চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে। আমরা মহিলা চেম্বারের পক্ষ থেকে নারী উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ দেই, সহযোগিতা করি। রাজশাহীতে নারী উদ্যোক্তাদের জন্য আলাদা একটা মার্কেট করতে হবে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মিজানুর রহমান বলেন, রাজশাহীর জন্য এখন একটি ইন্ট্রিগ্রেটেড সাসটেইন্যাবল প্ল্যান প্রয়োজন। আগামী ১০/২০ বছরে কী পরিমাণ শিক্ষিত কর্মসংস্থান তৈরি হবে, কোন কোন সেক্টরে কত লোক প্রয়োজন হবে, অবকাঠামো কেমন প্রয়োজন হবে, শিক্ষা, চিকিৎসা, আবাসন ব্যবস্থা সব বিষয়ে এখনই পরিকল্পনা করতে হবে। বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে রাজশাহী শহরের মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করা প্রয়োজন।

সর্বশেষ খবর