মঙ্গলবার, ২৩ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

ট্রেনযাত্রীদের সীমাহীন দুর্ভোগ

আফজাল, টঙ্গী

ট্রেনযাত্রীদের সীমাহীন দুর্ভোগ

সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছেন টঙ্গীর ট্রেনযাত্রীরা। টঙ্গী রেলওয়ে জংশন ও জয়দেবপুর রেলস্টেশনে আন্তনগর ট্রেন না থামায় যাত্রীরা এয়ারপোর্ট ও কমলাপুর রেলস্টেশন গিয়ে গাড়িতে ওঠেন। ফলে চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হয়। আবার অনেক যাত্রী গভীর রাতে টঙ্গী ও জয়দেবপুর থেকে বাসায় ফেরার পথে ছিনতাইয়ের কবলে পড়েন। বছরের পর বছর ধরে এই সমস্যা থাকলেও নেই কোনো প্রতিকার।

টঙ্গী জংশন রেলওয়ে স্টেশন দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ রেলওয়ে জংশন ও স্টেশন। ১৮৮৫ সালে ঢাকা স্টেট রেলওয়ে নারায়ণগঞ্জ থেকে ময়মনসিংহ পর্যন্ত ১৪৪ কিলোমিটার রেললাইন চালু করে। একই সঙ্গে টঙ্গী রেলওয়ে স্টেশনটি চালু করা হয়েছিল। ২০১১ সালে ঢাকা থেকে টঙ্গী দুই লেন রেললাইন চার লেনে উন্নীত করার উদ্যোগ নেওয়া  হয়; যার কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ টঙ্গী রেলওয়ে জংশনের ওপর দিয়ে প্রতিদিন মহানগর এক্সপ্রেস, তিস্তা, উপকূল, জয়ন্তীকা, অগ্নিবীণা, এগারসিন্দুর, জামালপুর, চিত্রা, বেনাপোল, সুন্দরবন, কালনী, যমুনা এক্সপ্রেসসহ ৩৪ জোড়া আন্তনগর ট্রেন  চলাচল করছে। এসব ট্রেন টঙ্গী স্টেশনে না থামায় টঙ্গী ও পার্শ্ববর্তী এলাকার শত শত ট্রেনযাত্রী ঢাকা এয়ারপোর্ট ও কমলাপুর রেলস্টেশনে গিয়ে ট্রেনে উঠতে হয়। এতে তারা চরম দুর্ভোগের শিকার হন। টঙ্গী দত্তপাড়া এলাকার নিশাত জাহান পলি বলেন, আমার বাড়ি চুয়াডাঙ্গায়। বাড়ি যাওয়ার সময় আমাকে কমলাপুর রেলস্টেশনে গিয়ে ট্রেনে উঠতে হয়। আবার বাড়ি থেকে আসার সময় জয়দেবপুর অথবা কমলাপুর নামতে হয়। ফলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এর কোনো সীমা নেই। এসব আন্তনগর ট্রেন টঙ্গীতে থামলে হাজার হাজার যাত্রীর দুর্ভোগ কমবে। টঙ্গী রেলস্টেশনের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন মাস্টার রাকিবুর রহমান বলেন, টঙ্গী জংশনের ওপর দিয়ে ৩৪ জোড়া আন্তনগর ট্রেন যাওয়া-আসা করে। কর্তৃপক্ষ চাইলে এর ব্যবস্থা নিতে পারেন। এটা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বিষয়। স্থানীয় এমপি জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, নতুন করে আধুনিক মানের প্ল্যাটফরম ও রেলস্টেশন ভবন নির্মিত হচ্ছে। নতুন ভবনের কাজ শেষ হলে নব উদ্যমে চলবে এর কার্যক্রম। তখন অনেক আন্তনগর ট্রেন টঙ্গী জংশনে থামবে। ট্রেন যাত্রীদের দুর্ভোগ কমে আসবে।

সর্বশেষ খবর