মঙ্গলবার, ৩০ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

অগ্নিঝুঁকিতে রংপুরের মার্কেট

নজরুল মৃধা, রংপুর

অগ্নিঝুঁকিতে রংপুরের মার্কেট

রংপুর নগরীর বাণিজ্যিক মার্কেট ও মেগামলগুলোর একটিতেও নেই যথাযথ অগ্নি প্রতিরোধ ব্যবস্থা। মার্কেটগুলোর কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির পাশাপাশি অসংখ্য মানুষও রয়েছে মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে। মার্কেট ও ভবন মালিকরা আইন মেনে ভবন তৈরি না করায় এমন ঝুঁকির সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। 

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সূত্র জানায়, ‘অগ্নি প্রতিরোধ ও অগ্নি হইতে উদ্ধার আইন’ অনুসারে এসব মার্কেটে নিজস্ব স্থায়ী অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা, নিজস্ব পাম্প, রাইডার, গ্যাস মাস্কসহ কয়েকরকম ডিটেক্টর, আলাদা বহির্গমন পথ, ভবনের ওপরে ও নিচে সংরক্ষিত পানির ব্যবস্থা, ফায়ার এক্সটিংগুইশারসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা রাখা হয়নি। কোথাও লোক দেখানো দু-একটি ফায়ার এক্সটিংগুইশার ঝোলানো থাকলেও এসবের কোনো কোনোটি মেয়াদোত্তীর্ণ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ বারবার তাগাদা দিলেও ভবন ও মার্কেটের  কমিটির পক্ষ থেকে কোনো সাড়া  মিলছে না।

রংপুর ঝুঁকিপূর্ণ মার্কেটগুলো হচ্ছে নবাবগঞ্জ বাজার, ছালেক মার্কেট, সুপার মার্কেট, মিনি মার্কেট, নিউ মার্কেট, মোতাহার কমপ্লেক্স, কালেক্টরেট শপিং কমপ্লেক্স মার্কেট, এরশাদ হকার্স মার্কেট, জাহাজ কোম্পনি মার্কেট, জামাল মার্কেট, জেলা পরিষদ কমিউনিটি সেন্টার মার্কেট, সিটি বাজার, সিটিপার্ক মার্কেট, সাতমাথা, টার্মিনাল, মডার্র্ন মোড়ে আরও একাধিক মার্কেট মারাত্মক অগ্নি ঝুঁকিতে রয়েছে। মার্কেট ও ভবনগুলোতে আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা তৈরি করতে বারবার তাগাদা সত্ত্বেও ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষের কথা শুনছে না মার্কেট কর্তৃপক্ষ। রংপুর নগরীতে অর্ধশতাধিক  মার্কেট রয়েছে যেগুলো অগ্নি আইন না মেনে নিজেদের খেয়াল খুশিমতো তৈরি করা হয়েছে। যথযথ অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থায় ২০ থেকে ৩০ লাখ টাকা খরচ হয়। টাকা খরচের ভয়ে মার্কেট মালিকরা নিয়ম মানছেন না। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের রংপুরের উপপরিচালক কাজী নজমুজ্জামান বলেন, আমরা ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ও মার্কেটটি নিয়মিত পরিদর্শন করে পরামর্শ দিচ্ছি। কিন্তু অনেকেই আমাদের পরামর্শ শুনছেন না।

সর্বশেষ খবর