মঙ্গলবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

আবর্জনা নিয়ে হার্ডলাইনে চসিক

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

আবর্জনা নিয়ে হার্ডলাইনে চসিক

সড়ক, ফুটপাত, খাল, নালা-নর্দমা এবং ড্রেনে ময়লা ফেলা যেন অনেকের অভ্যাস। নির্দিষ্ট ডাস্টবিনে ময়লা না ফেলে কাছের নালা-নর্দমা ও ড্রেনে ময়লা ফেলার প্রবণতা বাড়ছেই। উন্মুক্ত ময়লা জমে থাকায় চারদিকে দুর্গন্ধ ছড়ায়, নষ্ট ও দূষিত হচ্ছে পরিবেশ, ঘটছে স্বাস্থ্যহানি। তবে এবার চট্টগ্রাম সিটি কারপোরেশন (চসিক) নগরের যত্রতত্র বর্জ্য ফেলা নিয়ে হার্ডলাইনে অবস্থান নিয়েছে। নগরের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও আবাসিক ভবনগুলো যত্রতত্র বর্জ্য ফেললেই জরিমানা করবে চসিক। চলতি মাস থেকেই জরিমানা আদায় শুরু হবে। জানা যায়, নগরের কে কীভাবে কখন যত্রতত্র বর্জ্য ফেলছে তা তদারকি করবে চসিক। এ জন্য চসিকের পরিচ্ছন্ন বিভাগের কিছু কর্মচারী সাদা পোশাকে দায়িত্ব পালন করবেন। খাল-নালা-নর্দমা ও ড্রেনে ময়লা ফেললে সিভিল ড্রেস পরিহিত পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা তাদের চিহ্নিত করবেন। এরপর অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চসিকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জরিমানাসহ আইনানুগ ব্যবস্থা নেবেন।

চসিক মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, নগরের জলাবদ্ধতার অন্যতম কারণ নালা-নর্দমা ও খালগুলোতে বর্জ্যে ভরপুর থাকা। অথচ এসব বর্জ্য নির্দিষ্ট ডাস্টবিনে ফেললে নালা-নর্দমা ও ড্রেনগুলো আর ভরাট হয় না। প্রতিবছরই এগুলো পরিষ্কার করা হয়, পরে আবারও বর্জ্যরে ভাগাড় হয়ে যায়। তিনি বলেন, এবার জলাবদ্ধতা ঠেকাতে আমরা শুষ্ক মৌসুমে আগে থেকেই খাল-নালা থেকে মাটি তুলছি। তাছাড়া সিডিএকে চাপ দিচ্ছি যাতে জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের আওতায় থাকা খালগুলোর মাটি তোলা হয়। তবে আমাদের কোনো উদ্যোগই সফল হবে না, যদি জনগণ খাল-নালায় প্লাস্টিক-পলিথিন ফেলা বন্ধ না করেন। আমরা চাই জনগণকে সচেতন করতে, সম্পৃক্ত করতে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর