মঙ্গলবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

ডিভাইডারবিহীন সড়কে স্বাচ্ছন্দ্যের চলাচল

রাহাত খান, বরিশাল

ডিভাইডারবিহীন সড়কে স্বাচ্ছন্দ্যের চলাচল

বরিশাল নগরীর প্রধান সড়কগুলো থেকে লোহার সড়ক ডিভাইডার উঠিয়ে দেওয়ায় চলাচলে স্বাচ্ছন্দ্য এসেছে। ডিভাইডারগুলো উঠিয়ে দেওয়ায় সদর রোডসহ অন্যান্য সড়কে স্বস্তি নিয়ে চলাচল করতে পারছে যানবাহন ও পথচারীরা। এতে সদর রোডে যানজটও কমেছে। বরিশাল নগরীর প্রধান সড়কগুলো তেমন প্রশস্ত নয়। দিনের বেলায় বিশেষ করে স্কুল-কলেজ এবং অফিস সময়ে এসব সড়কে সৃষ্টি হতো যানজট। এ অবস্থায় সিটি করপোরেশনের বিগত পরিষদের মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ সদর রোড, ফজলুল হক এভিনিউ, হেমায়েত উদ্দিন রোড, হাসপাতাল রোড ও নথুল্লাবাদসহ বিভিন্ন সড়কে লোহার সড়ক ডিভাইডার স্থাপন করেন। পথচারী এবং যানবাহন চলাচলের সুবিধার্থে ডিভাইডারগুলো স্থাপিত হলেও এতে ওইসব সড়কে যানজট আরও তীব্র হয়। যানবাহনের ধাক্কায় ডিভাইডারগুলো আঁকাবাঁকা হয়ে বিপজ্জনক হয়ে উঠত। এতে হতাহত হতো যাত্রী এবং পথচারীরা। সম্প্রতি সিটি করপোরেশনে নতুন মেয়র আবুল খায়ের আবদুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত দায়িত্ব নেওয়ার পর সদর রোড, ফজলুল হক এভিনিউ এবং হেমায়েত উদ্দিন রোড থেকে ডিভাইডারগুলো উঠিয়ে ফেলা হয়। এতে যানবাহন চলাচলে স্বাচ্ছন্দ্য এসেছে। কমেছে যানজট। থ্রি-হুইলার চালক মো. মিলন জানান, সরু রাস্তায় ডিভাইডার দেওয়ায় তাদের চলাচলে সমস্যা হতো। বিশেষ করে অফিস সময়ে ওইসব সড়কে যানজট লেগে থাকত। অনেক সময় আকাবাঁকা লোহার ডিভাইডারে ধাক্কা লেগে যানবাহনের ক্ষতি হতো, যাত্রীরাও আহত হতেন। এখন ডিভাইডার উঠিয়ে দেওয়ায় যানবাহন এবং পথচারীরা স্বাচ্ছন্দ্যে চলতে পারছেন। সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল বাশার জানান, সড়কের ডিভাইডার কেন উঠিয়ে ফেলা হয়েছে তা তিনি জানেন না। ওয়ানওয়ে সড়কে দুর্ঘটনা কম ঘটে। ডিভাইডার উঠিয়ে ফেলায় এখন মুখোমুখি সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে বলে তিনি জানান।

সর্বশেষ খবর