মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা
সাক্ষাৎকার

বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে জনদুর্ভোগ লাঘব করব

মেয়র আনোয়ারুজ্জামান

শাহ্ দিদার আলম নবেল, সিলেট

বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে জনদুর্ভোগ লাঘব করব

‘ক্লিন অ্যান্ড গ্রিন স্মার্ট সিটি’র স্লোগান নিয়ে সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হয়েছিলেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। নির্বাচনে জিতে দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে হাত দেন তিনি। তিন মাসের দায়িত্বে সর্বাগ্রে শুরু করেছেন ‘ক্লিন সিটি’র কাজ। মাথায় আছে জনদুর্ভোগের বিষয়গুলোও। জলাবদ্ধতা, সুপেয় খাবার পানি সংকট, যানজট ও হকার দৌরাত্ম্যের মতো দুর্ভোগের স্থায়ী সমাধান চান আনোয়ারুজ্জামান। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে সমস্যার স্থায়ী সমাধানে উদ্যোগী তিনি। বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে নগরের উন্নয়ন ও বিরাজমান সমস্যা নিয়ে নানা পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন সিসিক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।

তিনি মনে করেন, সিলেট নগরীর বড় সমস্যা জলাবদ্ধতা। বর্ষায় জলাবদ্ধতায় নাকাল হতে হয় নগরবাসীকে। টানা বর্ষণ হলে সুরমা তীরবর্তী এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরান ও আরিফুল হক চৌধুরীর নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগও নগরবাসীকে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিতে পারেনি। আনোয়ারুজ্জামান বলেন, ‘জলাবদ্ধতা নিরসনের আগে এর কারণ চিহ্নিত করতে হবে। ড্রেন প্রশস্ত ও গভীর হয়েছে, কিন্তু জলাবদ্ধতা কমছে না- এটা চিন্তার বিষয়। নিশ্চয় কোনো সমস্যা আছে। এ জন্য প্রয়োজন বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ।’ জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধানে করণীয় নির্ধারণে সেনাবাহিনীর প্রকৌশল বিভাগের সঙ্গে আলোচনা করেছি। তাদের কোনো সহযোগিতা নেওয়া যায় কি না সেটাও ভেবে দেখা হচ্ছে।

নগরীর ফুটপাত ছাপিয়ে হকাররা দখল করে আছেন অর্ধেক সড়ক। হকার উচ্ছেদ ও অবৈধ পার্কিং বন্ধ করা গেলে যানজট নিয়ন্ত্রণ হবে বলে মনে করেন মেয়র। তিনি বলেন, ‘ফুটপাত কিংবা রাস্তা থেকে হকার তাড়িয়ে দিলেই সমস্যার সমাধান নয়। আগে তাদের পুনর্বাসন নিশ্চিত করতে হবে। এ জন্য নগরভবনের পেছনে লালদিঘী হকার্স মার্কেটের ভেঙে ফেলা অংশে তাদের পুনর্বাসনের কাজ চলছে। অস্থায়ীভিত্তিতে তাদের সেখানে বসতে দেওয়া হবে। একটি ব্যবসাবান্ধব পরিবেশে তারা যাতে সেখানে বসতে পারেন সেজন্য সব ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে।’

অবৈধ পার্কিং এবং যত্রতত্র মাইক্রোবাস ও অটোরিকশা স্ট্যান্ড যানজটের অন্যতম আরেক কারণ উল্লেখ করে মেয়র বলেন, এখন যেভাবে স্ট্যান্ড করে যত্রতত্র গাড়ি রাখা হচ্ছে- সে সুযোগ আর দেওয়া হবে না। নির্ধারিত স্থানে কিছু সংখ্যক যানবাহন রেখে চালকদের যাত্রী পরিবহন করতে হবে। একটি পরিচ্ছন্ন নগরী উপহার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে মেয়র হন আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। ইতোমধ্যে এই খাতে বেশ সফলতাও দেখিয়েছেন তিনি। পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম আরও জোরদার হয়েছে। মেয়র জানান, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে আগে ২৫১ জন শ্রমিক কাজ করতেন। এখন এর সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। দিন ও রাতে সমানতালে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চলে। তবে নগরবাসীর সম্মিলিত সহযোগিতা ছাড়া বাসযোগ্য স্মার্ট নগরী গড়ে তোলা সম্ভব নয়।

সর্বশেষ খবর