শিরোনাম
মঙ্গলবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

বাংলায় সাইনবোর্ড বাস্তবায়নে অনীহা

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

বাংলায় সাইনবোর্ড বাস্তবায়নে অনীহা

আদালত ২০১৪ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি দেশের সব সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড, ব্যানার, গাড়ির নম্বর প্লেট, দফতরের নামফলক বাংলায় লেখার নির্দেশ দেন। নির্দেশনা বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের প্রতিষ্ঠানগুলোকে। নগরে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) বিষয়টি মনিটরিং করে। কিন্তু গত দুই বছর ধরে এ নিয়ে চসিকের কোনো কর্মসূচি দেখা যায়নি। ভাষার মাস চললেও হয়নি অভিযান।

আদালতের নির্দেশনা মতে, সাইনবোর্ডে বাংলার পাশাপাশি ইংরেজিও থাকতে পারবে। তবে বাংলা থাকবে সাইনবোর্ডের ৬০ শতাংশ এবং ইংরেজি থাকবে ৪০ শতাংশ। এর ব্যত্যয় ঘটলে জরিমানা করার কথা। মহানগরে চসিকের প্রায় দেড় লাখ ট্রেড লাইসেন্স আছে।  প্রতিবছরই গড়ে ১০/১২ হাজার নতুন লাইসেন্স যোগ হয়। এসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অধিকাংশ সাইনবোর্ডই ইংরেজি ভাষায় লিখিত। তবে প্রতিবছর ভাষার মাস এলে চসিক নিয়মিত কালো কালি দিয়ে ইংরেজি সাইনবোর্ড মুছে দিত। গত দুই বছর  ধরে তাও দেখা যাচ্ছে না। অভিযান না থাকায় ইংরেজি সাইনবোর্ডের আধিক্য বাড়ছে। 

চসিকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চৈতী সর্ববিদ্যা বলেন, বাংলায় সাইনবোর্ড লেখার বিষয়টি আমরা অবগত আছি। এ ব্যাপারে আমরা কার্যকর উদ্যোগ নেব। কেবল ভাষার মাস নয়, নিজের ভাষার প্রতি সম্মান ও গুরুত্ব দিয়ে সারা বছরই আমরা এ ব্যাপারে তৎপরতা অব্যাহত রাখব। 

সরেজমিন দেখা যায়, নগরের ছোট বড় প্রায় সব প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ডেই আছে ইংরেজির আধিক্য। নগরের অভিজাত শপিংমল, রেস্টুরেন্ট, পাঁচতারকা  হোটেল, মার্কেটসহ বিভিন্ন সাইনবোর্ডে দেখা যায় ইংরেজির আধিক্য। কোনো কোনো সাইনবোর্ডে বাংলার কোনো অস্তিত্বই নেই, কোনো কোনো সাইনবোর্ডের নিচের দিকে বাংলাকে দয়া করে সামান্য স্থান দেওয়া হয়েছে, যা দৃশ্যমানও নয়। ইতোমধ্যে পরিচালিত অভিযানে জরিমানা এবং কালো কালি দিয়ে সাইনবোর্ড মুছে দেওয়ার ঘটনায় কোনো ইতিবাচক প্রভাব পড়তে  দেখা যায়নি। লাইসেন্সপ্রাপ্ত সাইনবোর্ডগুলোর মধ্যে অধিকাংশই ইংরেজিতে লেখা হলেও এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবসায়ী নিজ উদ্যোগে বাংলায় সাইনবোর্ড লেখার তাগিদ অনুভব করছে না।

সর্বশেষ খবর