গাজীপুরে সড়ক ও মহাসড়কে বাড়ছে দুর্ঘটনা। একের পর এক সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা বাড়ছে। সড়কের গুরুত্বপূর্ণ অনেক পয়েন্টে ট্রাফিক পুলিশ না থাকায় সড়কে শৃঙ্খলা রক্ষা করা যাচ্ছে না। গাড়ি চালানোর সময় চালকদের মোবাইল ফোনে কথা বলা, ট্রাফিক আইন মেনে না চলা, বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোর কারণে দুর্ঘটনা বাড়ছে। অদক্ষদের হাতে স্ট্রিয়ারিং, ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচলসহ বিভিন্ন কারণে সড়কে দুর্ঘটনা কমছে না।
৩ ফেব্রুয়ারি টঙ্গীর মিল গেট এলাকায় বলাকা পরিবহন বাসের চাপায় মানিকগঞ্জের বাসিন্দা এএসআই হাসান মারা যান, পরদিন ৪ ফেব্রুয়ারি টঙ্গীর শিলমুন এলাকায় ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক আর কাভার্ডভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুজনের মত্যু হয়। ১২ ফেব্রুয়ারি টঙ্গীর হোসেন মার্কেট এলাকায় রাস্তা পারাপারের সময় গাড়ি চাপায় আমির হামজা নামে এক ব্যবসায়ী গুরুতর আহত হন। পরে ১৪ ফেব্রুয়ারি তিনি মারা যান।
১৭ ফেব্রুয়ারি দুপুরে টঙ্গীর গাজীপুরা এলাকায় বাস চাপায় ফরিদা ইয়াসমিন নামে এক নারীর মৃত্যু হয়। ২০ ফেব্রুয়ারি বিআরটি প্রকল্পের টঙ্গীর কাদেরিয়া টেক্সটাইল মিলস এলাকায় উড়াল সেতুতে ওঠার সময় বাস ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডুয়েট) শিক্ষক রামকৃষ্ণ সাহা ও পাঠাও চালক দিদারুল আলম দিনারের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। ২৪ ফেব্রুয়ারি নগরীর বড়বাড়ি এলাকায় সিটি করপোরেশনের গাড়িচাপায় মনোয়ারা নামে এক পোশাক কর্মীর মৃত্যু হয়। এভাবে নগরীর পূবাইল, মিরেরবাজার বাইপাস সড়ক, জয়দেবপুর, কাশিমপুর, কোনাবাড়ি, সালনা, শিববাড়ি, মালেকের বাড়িসহ বিভিন্ন এলাকায় ঢাকা-ময়মনিসংহ মহাসড়ক ও বিভিন্ন শাখা সড়কে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনা বাড়ছে।টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি মো. মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, স্বাভাবিক মৃত্যুর চেয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেশি। এর কারণ হচ্ছে, গাড়ি চালকদের বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো এবং গাড়ি চালানোর সময় শতভাগ মনোযোগ না থাকা। অন্যদিকে পথচারীদের কারণেও দুর্ঘটনা ঘটছে। সড়ক দুর্ঘটনা এড়াতে উভয়কেই সতর্ক থাকতে হবে।
গাজীপুর মহানগর ট্রাফিক পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশানার মো. আলমগীর হোসেন বলেন, গাজীপুরে মহাসড়কে দুর্ঘটনার একটাই কারণ, রাস্তা সংস্কার এবং ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ না হওয়া। ফুটওভার ব্রিজ না থাকার কারণে মানুষ সড়ক দিয়ে রাস্তা পারাপার হতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন। রাস্তার কাজ শেষ না হলে কিংবা ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ না হলে এই দুর্ঘটনা রোধ করা কঠিন। বিভিন্ন পয়েন্টে ট্রাফিক পুলিশ রয়েছে, তারা কী করবে। মানুষ সড়ক দিয়ে পারাপার হচ্ছে। আগে রাস্তার মেরামত কাজ শেষ করতে হবে। পাশাপাশি বিআরটিএ কর্তৃক উড়াল সেতুর কাজ দ্রুত শেষ করতে হবে।