শিরোনাম
মঙ্গলবার, ৫ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা

গতির সড়কে গতিরোধক নেই

রাহাত খান, বরিশাল

গতির সড়কে গতিরোধক নেই

নগরীর ব্যস্ততম ও গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণে নির্মাণ করা হয় গতিরোধক। কিন্তু গতিরোধকে কোনো রং বা চিহ্ন না থাকায় এখন সেগুলো নগরবাসীর গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রায়ই দুর্ঘটনাকবলিত হচ্ছে যানবাহন। আহত হচ্ছে আরোহীরা। বেপরোয়া যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণে এবং নগরবাসীর সুষ্ঠু চলাচলের জন্য নগরীর হাসপাতাল রোড, বিএম কলেজ রোড, বটতলা-চৌমাথা সড়ক, জিলা স্কুল-আমতলা মোড় সড়ক, হেমায়েত উদ্দিন রোডসহ বিভিন্ন সড়কে গতিরোধক নির্মাণ করে সিটি করপোরেশন। নির্মাণের পর এসব গতিরোধক রং দিয়ে চিহ্নিত করে দেওয়া হয়। ফলে দেখেশুনে গতিরোধকগুলো পারাপার হতো চলাচলকারীরা। বছরের পর বছর ধরে রক্ষণাবেক্ষণ না করায় বেশির ভাগ গতিরোধকের চিহ্ন (রং) উঠে গেছে। ফলে প্রায় প্রতিদিনই ঘটছে দুর্ঘটনা। বিশেষ করে ছোট যানবাহন ও মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় পড়ছে বেশি। দূরদূরান্ত থেকে আগত মোটরসাইকেল আরোহীরাও এসব গতিরোধকে দুর্ঘটনার শিকার হন।

নগরীর বটতলা এলাকার বাসিন্দা সাইফুর রহমান বলেন, ব্যস্ততম সড়কে যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণের জন্য নির্মাণ করা হয়েছিল গতিরোধকগুলো। এর সুফলও পাচ্ছে নগরবাসী। কিন্তু গতিরোধকগুলোর রং উঠে যাওয়ায় বোঝার উপায় নেই কোথায় গতিরোধক আছে, আর কোথায় নেই। ফলে প্রায়ই দুর্ঘটনায় পড়ছে ছোট যানবাহন এবং মোটরসাইকেল। সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে গতিরোধকগুলো আবারও রং করণের তাগিদ দেন তিনি।

এ বিষয়ে সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল বাশার বলেন, নগরীর ভাঙ্গা সড়ক সংস্কারের জন্য অনেক প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। আগামী ১ মাসের মধ্যে সব ভাঙ্গা সড়ক সংস্কারের কাজ শুরু হবে। সংস্কারের পর ওইসব গতিরোধকে নতুন করে রং করে দেওয়া হবে। আর যে সড়কগুলো ভালো আছে কিন্তু গতিরোধকের রং উঠে গেছে সেগুলোর বিষয়ে খোঁজখবর নেবে নগর ভবন। প্রয়োজন হলে ওইসব গতিরোধকে নতুন করে রং করে দেওয়া হবে বলে তিনি জানান।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর