শিরোনাম
মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা

গুলশান লেকে মশার চাষ!

নিজস্ব প্রতিবেদক

গুলশান লেকে মশার চাষ!

গুলশান লেকে মাছের নয়, মশার চাষ হচ্ছে বলে উল্লেখ করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম। গত শনিবার গুলশান লেকের পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তিনি এমন মন্তব্য করেন। নগরবাসীর উদ্দেশে মেয়র বলেন, এখানকার (গুলশান-বারিধারা) একেকটি ফ্ল্যাটের দাম ২৫ থেকে ৫০ কোটি টাকা। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক এই এলাকার ভবনগুলো থেকে পয়োবর্জ্য সরাসরি লেকে এসে মিশছে। ডিএনসিসির বৃষ্টির পানির নালার সঙ্গে চোরাই পাইপ সংযুক্ত করা হচ্ছে।

মেয়র সবাইকে হুঁশিয়ার করে বলেন, যারা পয়োবর্জ্য সরাসরি খাল, লেক বা জলাধারে ফেলবেন, তাদের পাইপে আমি কলাগাছ থেরাপি দেব। যাতে করে এই বর্জ্য আবার তাদের দিকে ফিরে যায়। ঢাকা উত্তর সিটি ও গুলশান সোসাইটির যৌথ উদ্যোগে এই পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি শুরু হয়। মেয়র আতিকুল ইসলাম এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। গুলশান ৬৩ নম্বর সড়কের গুলশান জামে মসজিদ অংশ থেকে লেক পরিষ্কারের কার্যক্রম শুরু হয়। পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছিলেন আতিকুল ইসলাম।

মেয়র আরও বলেন, আমি চাই লেকে শিশুরা খেলবে, ওয়াটার ট্যাক্সি চলবে। আরও আধুনিক সরঞ্জাম থাকবে, যা দিয়ে তারা খেলবে। কিন্তু পানি হয়ে আছে শতভাগ দূষিত। এখানকার কোনো মানুষ এই লেক থেকে উপকৃত হচ্ছে না।

মেয়র আরও বলেন, আমি চাই লেকে শিশুরা খেলবে, ওয়াটার ট্যাক্সি চলবে। আরও আধুনিক সরঞ্জাম থাকবে, যা দিয়ে তারা খেলবে। কিন্তু পানি হয়ে আছে শতভাগ দূষিত।

পরিচ্ছন্নতা অভিযানে ডিএনসিসির কর্মীদের সঙ্গে গুলশান সোসাইটি, ছয়টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী (স্যার জন উইলসন স্কুল, চট্টগ্রাম গ্রামার স্কুল, স্কলাস্টিকা স্কুল, দিল্লি পাবলিক স্কুল, অস্ট্রেলিয়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এবং সানিডেল স্কুল), জাগো ফাউন্ডেশন ও শক্তি ফাউন্ডেশনের ৪০০ স্বেচ্ছাসেবক অংশ নেন।

উত্তর সিটির মেয়র বলেন, গুলশান-বারিধারা লেক মূলত রাজউকের অধীনে। লেকটি ঢাকা উত্তর সিটির অধীনে দিতে তাদের চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু রাজউক এখনো সিটি করপোরেশনকে দেয়নি। লেকের এক অংশের পাশেই গুলশান সোসাইটি জামে মসজিদ। মসজিদে নামাজে যাওয়া মুসল্লিরা লেকের দূষিত পানির দুর্গন্ধের বিষয়টি সিটি করপোরেশনকে জানানোর পর পরিষ্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলেন মেয়র।

তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, এলাকার মানুষের অনেকগুলো দাবির মধ্যে একটি দাবি বারবার তুলে ধরা হয়েছে, সেটি হচ্ছে লেকগুলো পরিষ্কার করতে হবে। তাই আর দেরি করতে চাই না। একটাই প্রত্যাশা থাকবে, শুধু পরিষ্কার হবে, তা নয়, ভবিষ্যতে লেক পরিষ্কার রাখতে সবাই মিলে আমরা যত্নশীল ও উদ্যোগী হই।

সর্বশেষ খবর