শিরোনাম
মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা

নয়নাভিরাম ভাস্কর্যে স্বাধীনতা ঘোষণার স্মৃতি

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

নয়নাভিরাম ভাস্কর্যে স্বাধীনতা ঘোষণার স্মৃতি

দেশের স্বাধীনতার সঙ্গে চট্টগ্রাম বেতারের জড়িয়ে থাকার স্মৃতিটি  অম্লান করে রাখতে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নগরের বহদ্দারহাটে মোড়ে ‘বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ’ শীর্ষক স্মৃতি স্মারক নির্মাণ করেছে। গত ৭ মার্চ এটি উদ্বোধন করা হয়। ১৮ ফুট উচ্চতা ও ৩০ ফুট প্রস্থ। পুরো স্মৃতিস্মারকটি নির্মাণ করা হয়েছে পিরামিডের অবয়বে। তৈরি করা হয়েছে কাচ দিয়ে। কাচের ভেতর আছে একটি মাইক্রোফোন। কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠের সময় ব্যবহৃত মাইক্রোফোনটির প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। পিরামিডকে মুক্তিযুদ্ধকালীন সাত কোটি বাঙালির ঐক্যবদ্ধের প্রতীককে বোঝানো হয়। স্মৃতিস্মারকটির চারপাশে আছে ফোয়ারা।

চসিক মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রাম থেকে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে প্রথম স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করা হয়েছে। তাঁর স্মৃতি ধরে রাখতে স্মৃতিফলকটি নির্মাণ করা হয়েছে। সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পের আওতায় কাজটি করা হয়। এখানে লাইটিং করা হবে। ঝরনা থাকবে। আদল দেওয়া হবে মিনি পার্কের। নগরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এ মোড়টি স্মারকটি দিয়ে দৃষ্টিনন্দন করা হচ্ছে। একই সঙ্গে নতুন প্রজন্ম এ স্মারকটি দেখলেই যাতে স্বাধীনতার ঘোষণার বিষয়টি জানতে পারে, সে বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।  

নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ট্রেড ম্যাক্সের স্বত্বাধিকারী ফরিদ মাহমুদ বলেন, স্বাধীনতার ঘোষণা দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণ। এ সন্ধিক্ষণের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে সম্পৃক্ত কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র। এখান থেকেই বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করা হয়। বিষয়টি বর্তমান প্রজন্মকে জানানো আমাদের দায়িত্ব। তাই নতুন প্রজন্মের কাছে ঘোষণাটি স্মরণীয় করে রাখতে স্মৃতি স্মারকটি নির্মাণ করা হয়েছে। বহদ্দার হাট এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা সংগঠক মো. ইলিয়াস বলেন, এটি একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ। প্রতিদিন এ মোড় দিয়ে হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। সবার চোখেই পড়বে স্বাধীনতার স্মারকটি। এতে দেশপ্রেমের চেতনাও জেগে উঠবে মানুষের মনে।  

১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে প্রথম স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন তৎকালীন আওয়ামী লীগ নেতা এম এ হান্নান। এ স্মৃতি ধরে রাখতে চসিক প্রায় ৮৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ’ শীর্ষক স্মৃতিস্মারকটি নির্মাণ করে। আর্কিটেকচারের দায়িত্বে ছিলেন স্থপতি আজমুল হক। এটি নির্মাণ করেন ভাস্কর সুকান্ত ভট্টচার্য এবং মান্না ঘোষ।

সর্বশেষ খবর