চট্টগ্রাম নগরের অন্যতম বৃহত্তম পাইকারি-খুচরা মার্কেট রেয়াজুদ্দিন বাজার। এখানে আছে ছোট-বড় প্রায় ১০ হাজার দোকান। বড় অঙ্কের পুঁজি নিয়ে ব্যবসা করছেন এখানকার দোকানিরা। কিন্তু বাজারের দুই দিকেই সড়ক-ফুটপাত দখল করে বসা হকারদের ছোট ছোট দোকানের আড়ালে অদৃশ্য হয়ে যায় মূল রেয়াজুদ্দিন বাজার। ফলে হকারে আড়াল হয়ে গেছে কোটি কোটি টাকার পুঁজি দিয়ে দোকান কেনা ব্যবসায়ীরা। অভিন্ন চিত্র নগরের অন্যান্য অভিজাত মার্কেটগুলোর।
জানা যায়, নগরের ফুটপাত-সড়ক হকারমুক্ত করতে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন সাঁড়াশি অভিযান শুরু করে। গত ৮ ফেব্রুয়ারি নগরের আমতল থেকে নিউ মার্কেট হয়ে ফলমন্ডি পর্যন্ত অবৈধ হকার উচ্ছেদে অভিযান চালায় চসিক। ওইদিন সাড়ে চার হাজার হকার উচ্ছেদ করা হয়। অভিযানে হকার-পুলিশ সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় চসিক ১২ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করে। কিন্তু কয়েক দিন পর আবারও দখল হয়ে যায় এখানকার ফুটপাত। সর্বশেষ গত মঙ্গলবারও চসিক নিউমার্কেট এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান চালায়। তাছাড়া আগ্রাবাদ, বহদ্দারহাটসহ একাধিক এলাকায়ও হকার উচ্ছেদে অভিযান চালায় চসিক। চসিক উচ্ছেদ করলে হকাররা আবারও তা দখল করে ফেলছে। ফলে এখন চলছে উচ্ছেদ-দখল নিয়ে ইঁদুর খেলা। তবে উচ্ছেদ অভিযানকে নগরবাসী ও ব্যবসায়ীরা স্বাগত জানিয়েছে। তবে হকাররা এর প্রতিবাদে বিক্ষোভসহ নানা কর্মসূচি পালন করে। ফুটপাত থেকে হকার উচ্ছেদে অনড় চসিক।
উচ্ছেদ অভিযানে চসিকের সমন্বয়কারী ও মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম বলেন, নিউ মার্কেট এলাকায় ইতোমধ্যে তিনবার উচ্ছেদ অভিযান হয়েছে। তবুও হকাররা সড়ক ফুটপাত দখল করে বসছেন। রমজানের কারণে একটু সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। তাছাড়া হকারদের জন্য তিনটি হলি ডে মার্কেট করার প্রক্রিয়া চলছে। হলি ডে মার্কেট চালু হলে তাদের আর সুযোগ দেওয়া হবে না।