গাজীপুরে ড্রেন যেন ময়লার ভাগাড়। বিভিন্ন বাসাবাড়ি, প্রতিষ্ঠান ও কলকারখানার কঠিন বর্জ্য ড্রেনে ফেলার কারণে নগরজুড়ে হাজার হাজার ড্রেন অকেজো হয়ে পড়েছে। সিটি করপোরেশন কর্তৃক ড্রেনের ময়লাআবর্জনা পরিষ্কার করার পর ফের বন্ধ হয়ে যায় ড্রেনের পানি চলাচলের পথ। ফলে একটু বৃষ্টি হলেই ড্রেন উপচে সড়কে প্রবাহিত হয় বৃষ্টির পানি। সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। শুরু হয় মানুষের দুর্ভোগ। এ বিষয়ে বিশিষ্টজনরা বলছেন, বাসাবাড়ি, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও কলকারখানার কঠিন বর্জ্য ড্রেনে না ফেলে একটি নির্দিষ্ট স্থানে ফেলতে হবে। এই অভ্যাস নিজেদের মধ্যে তৈরি না হলে অবস্থার উত্তরণ ঘটবে না।
সরেজমিনে ঘুরে জানা যায়, গাজীপুরে পানি চলাচলের ড্রেনে ময়লার স্তূপ। প্রতিদিন বিভিন্ন বাসাবাড়ি, প্রতিষ্ঠান ও কলকারখানা থেকে তিন থেকে চার হাজার টন বর্জ্য হয়। এর মধ্যে অর্ধেক বর্জ্য সরাসরি ড্রেনে ফেলা হয়। ফলে কঠিন বর্জ্য ড্রেনের বিভিন্ন স্থানে জমাট হয়ে পানি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
এ বিষয়ে টঙ্গী জোনের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাসেল বলেন, প্রতিদিন বাসাবাড়ি, হোটেল, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও কারখানার তিন-চার হাজার টন বর্জ্য ড্রেনে ফেলা হচ্ছে। যে কারণে ড্রেনের সুফল পাচ্ছে না মানুষ। বর্ষা মৌসুমের পূর্বে সব ড্রেন পরিষ্কার করা হবে। তবে কিছু কিছু ড্রেন রয়েছে তা প্রতিদিন পরিষ্কার করা হয়। তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে সবাইকে সচেতন হতে হবে। যেখানে সেখানে কিংবা ড্রেনে ময়লাআর্বজনা না ফেলে নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা ফেলতে হবে। ড্রেন সচল রাখতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
এ ব্যাপারে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রধান উপদেষ্টা সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বাসাবাড়ি কিংবা প্রতিষ্ঠানের ময়লাআর্বজনা সরাসরি ড্রেনে না ফেলে একটি নির্দিষ্ট স্থানে কিংবা ডাম্পিং স্টেশনে রাখতে হবে। এসব বর্জ্য ড্রেনে ফেলার কারণে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ড্রেন ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এই নগর আমার আপনার সবার। তাই পরিচ্ছন্ন নগর গড়তে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।