শিরোনাম
মঙ্গলবার, ২ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০০ টা

মশা-ধুলায় অস্বস্তিতে নগরবাসী

নজরুল মৃধা, রংপুর

মশা-ধুলায় অস্বস্তিতে নগরবাসী

রংপুর নগরী এখন মশা উৎপাদনের কারখানায় পরিণত হয়েছে। এ ছাড়া ধুলায় মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে নগরীর প্রাণকেন্দ্র দিয়ে বয়ে যাওয়া শ্যামাসুন্দরী ও কেডি খালে মশার বংশবিস্তার সবচেয়ে বেশি। ফলে ঘরেবাইরে সবখানে মশার অত্যাচার বেড়েছে।  জানা গেছে, মশা উৎপাদনের কারখানা বলে চিহ্নিত শ্যামাসুন্দরী খাল ঘাঘট নদী থেকে শুরু করে নগরীর ধাপ পাশারীপাড়া, কেরানীপাড়া, মুন্সিপাড়া, ইঞ্জিনিয়ারপাড়া, গোমস্তাপাড়া, সেনপাড়া, মুলাটোল, তেঁতুলতলা, নূরপুর, বৈরাগীপাড়া হয়ে মাহিগঞ্জের মরা ঘাঘটের সঙ্গে যুক্ত হয়। দীর্ঘদিন থেকে সংস্কার না করায় খালটি নাব্য হারিয়ে ফেলেছে। এর দুই ধারে অবৈধভাবে দখল হয়ে যাওয়ায় সংকীর্ণ হয়ে পড়ে খালটি। সামান্য বৃষ্টিতেই গোটা শহরে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। শ্যামাসুন্দরী খালটি সংস্কার কাজ থমকে থাকায় মশা উৎপাদনের কারখানায় পরিণত হয়েছে। অন্যদিকে নগরীতে কেডি খাল নামে আরেকটি খাল রয়েছে। এই খাল প্রায় ৪ কিলোমিটার দীর্ঘ। এটিও পরিষ্কার করা হয় না। ফলে শ্যামাসুন্দরীর চেয়ে বেশি মশা জন্ম নিচ্ছে ওই খালে। এ ছাড়া নগরীর ড্রেন, পুকুর- জলাশয়গুলো ঠিকমতো পরিষ্কার না করায় সেখানেও উৎপাদন হচ্ছে মশা। দিনে রাতে সর্বত্র মশার অত্যাচারের কারণে মশাবাহিত রোগবালাই ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। স্প্রে কিংবা কয়েলেও মশা নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। এ ছাড়া নগরীর রাস্তার দুই পাশে ধুলার স্তূপ জমে রয়েছে। একটু বাতাস এলেই ধুলার কারণে মানুষজনকে নাক ধরে চলতে হয়। প্যানেল মেয়র তৌহিদুল ইসলাম বলেন, সিটি করপোরেশনের মশক নিধন অভিযান চলমান রয়েছে।

সর্বশেষ খবর