চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নগরের হকারদের উচ্ছেদ করে হলিডে মার্কেট করার পরিকল্পনা করেছে। এ নিয়ে স্থান নির্ধারণ করে দুটি সংস্থাকে চিঠিও দিয়েছে। কিন্তু সংস্থা দুটি এখনো চসিকের চিঠির সাড়া দেয়নি। হলিডে মার্কেট নির্মাণে তারা মৌখিকভাবে সম্মতি দিলেও চূড়ান্তভাবে কিছু জানায়নি। বিষয়টি এখনো ঝুলে আছে। চসিক গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে নগরের ফুটপাতে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা হকারদের উচ্ছেদে অভিযান শুরু করে।
চসিক নগরের রেলস্টেশন, বায়েজিদ বোস্তামি ও আগ্রাবাদ এলাকায় পৃথক তিনটি হলিডে মার্কেট করার পরিকল্পনা করেছে। সেখানে উচ্ছেদকৃত হকারদের পুনর্বাসন করা হবে। এর মধ্যে দুটো জায়গা বরাদ্দ চেয়ে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের জেনারেল ম্যানেজার ও গণপূর্ত বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীকে চিঠি দিয়েছে। এর মধ্যে আগ্রাবাদ এলাকাগুলোর জন্য জাম্বুরি পার্কের চারপাশে একটি হলিডে মার্কেট করা হবে। গণপূর্ত বিভাগের মালিকানাধীন বায়েজিদ বোস্তামি পার্কসংলগ্ন গণপূর্ত কারখানা উপবিভাগ ও মেকানিক্যাল ওয়ার্কশপ কাম গোডাউনের ৩ দশমিক ২০ একর জমিতে একটি হলিডে মার্কেট করবে চসিক। জায়গাটি বরাদ্দ চেয়ে গণপূর্ত বিভাগে চিঠি দিয়েছে চসিক। অন্যদিকে রেলওয়ের মালিকানাধীন চট্টগ্রাম নতুন রেলস্টেশনের পূর্ব পাশে পার্কিংয়ের খালি জায়গায় আরেকটি হালিডে মার্কেট করা হবে। অস্থায়ী ভিত্তিতে জায়গাটি সপ্তাহে দুই দিনের জন্য বরাদ্দ চেয়ে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের জিএমকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। চালুর পর প্রতি বৃহস্পতিবার বিকালে এবং শুক্রবার ও শনিবার পুরো দিন হলিডে মার্কেটে ব্যবসা করার সুযোগ পাবে হকাররা। এ ক্ষেত্রে হকার্স সংগঠন থেকে হকারদের তালিকা সংগ্রহ করবে চসিক।
চসিক ২০১৭ সালের জুনে দুই দফায় ৮ হাজার ৫৯৯ জন হকারের একটি তালিকা করে। তবে বাস্তবে ফুটপাত দখল করে ব্যবসা করা হকারের সংখ্যা আরও বেশি। নগরে ২২টি হকার্স সংগঠন এবং ১ সমন্বিত সংগঠন মিলিয়ে ২৩ সংগঠনের মাধ্যমে তারা ব্যবসা করে আসছেন। হকার্স সংগঠনের সমন্বয় করে চট্টগ্রাম সম্মিলিত হকার্স ফেডারেশন, যার সদস্য সংখ্যা ২৪ হাজার। এর মধ্যে শুধু চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন হকার্স সমিতির সদস্য সংখ্যা ১১ হাজার।