মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০০ টা

ব্যস্ত সড়কে বাণিজ্য, জড়িত পুলিশও

কাজী শাহেদ, রাজশাহী

ব্যস্ত সড়কে বাণিজ্য, জড়িত পুলিশও

রাজশাহী মহানগরীর ব্যস্ততম সড়ক সাহেববাজার জিরোপয়েন্ট থেকে বাটার মোড় পর্যন্ত। এ সড়কটি সবসময় ব্যস্ত থাকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও অন্যান্য যানবাহনে। ব্যস্ত এ সড়কটির মাঝপথে গণকপাড়ায় ব্যারিকেড বসিয়েছে পুলিশ। জিরোপয়েন্ট থেকে গণকপাড়া পর্যন্ত ব্যারিকেডের ভিতরে বসছে দোকানপাট। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সড়কে চলছে বিকিকিনি।

চওড়া সড়ক সরু করে যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হয়েছে। মানুষও হাঁটতে পারে না সড়কে বসানো দোকানগুলোর কারণে। এসব দোকান থেকে প্রতিদিন টাকা নিচ্ছে স্থানীয় রাজনৈতিক কর্মী ও পুলিশ। যদিও পুলিশ বলছে, সেখানে ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণের জন্য। একপথে যান চলাচল করলে যানজট কম হচ্ছে।   

নগরীর গণকপাড়া থেকে জিরোপয়েন্টে পর্যন্ত সড়ক বন্ধ করে দিয়েছে মহানগর পুলিশ। তিন মাসের বেশি সময় ধরে সড়কটি একমুখী করে রাখা হয়েছে। যানজট কমাতে সড়কটি ওয়ান ওয়ে (একমুখী) করা হয়েছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হলেও ব্যস্ত সড়কের মাঝে দোকানপাট বসছে প্রতিদিন। গাড়ি চালক রবিউল ইসলাম বলেন, আগে গণকপাড়া থেকে জিরোপয়েন্ট হয়ে পিএন স্কুলের সড়ক দিয়ে তালাইমারী চলে যাওয়া যেত। এখন বহু পথ ঘুরে আসতে হয়। যানজট কমাতে পুলিশের এমন উদ্যোগ হলে ফাঁকা সড়কের মাঝে দোকানপাট বসছে কেন?

রোকসানা বেগম নামের এক নারী জানান, পুলিশ সড়কটি একমুখী করে রাখায় বাজারে রিকশা নিয়ে যেতে হয় অনেকটা পথ ঘুরে। কেনাকাটা শেষে বাড়ি ফিরতেও সমস্যায় পড়তে হয়। পায়ে হেঁটে ওই পথ দিয়েও আসা যায় না। কারণ সেখানে দোকানপাট বসে।  

রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) অনির্বাণ চাকমা বলেন, ‘গণকপাড়া মোড় থেকে স্যান্ডেলপট্টি হয়ে মণিচত্বর পর্যন্ত রাস্তাটিতে জটলা থাকে। ফলে ওই সড়ক একমুখী করা হয়েছে। তবে এর কারণে ফুটপাত ব্যবসায়ীরা রাস্তায় নেমে এসেছে। আমরা বিষয়টি দেখছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘ফুটপাত দেখে সিটি করপোরেশন। ট্রাফিক বিভাগ দেখে রাস্তা। ফলে ফুটপাতে আমাদের কিছু করার থাকে না। তবে রাস্তার দখলদারদের উচ্ছেদে আমরা নিয়মিত কাজ করি।’

সর্বশেষ খবর