মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০০ টা

সবুজায়নের উদ্যোগে ভাটা

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

সবুজায়নের উদ্যোগে ভাটা

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) অতীতে নগরের সড়কের পাশে ও সড়কের আইল্যান্ডে নানা জাতের বৃক্ষ রোপণ করত। বৃক্ষগুলো পরিচর্যা করা হতো, বড় হয়ে ছায়া দিত পথচারীদের। পথচারীরা বৃক্ষের ছায়া উপভোগ করে যাতায়াত করত। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে সড়কের পাশে ও আইল্যান্ডে চসিকের বৃক্ষ রোপণের কর্মসূচি দেখা যায় না। ফলে সড়ক বিভাজকে তৈরি হয়নি বৃক্ষ। পথচারীরা বঞ্চিত বৃক্ষের ছায়া থেকে। ভাটা পড়েছে সবুজায়নের উদ্যোগে। গত দুই সপ্তাহ ধরে দেশে তীব্র দাবদাহের কারণে এমন চরম কঠিন সময়ে নগরে চসিকের সবুজায়নের বিষয়টি সামনে আসে। তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সবুজায়নের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। 

জানা যায়, চসিকের পরিকল্পনা বিভাগ নগরে বৃক্ষ রোপণের কাজ করে থাকে। তাছাড়া এ বিভাগের অধীন নগরের সৌন্দর্যবর্ধন, বনায়ন ও ল্যান্ডস্ক্যাপ, বস্তির উন্নয়ন, নকশা প্রণয়ন ও অনুমোদন এবং জিআইএস ম্যাপিংয়ের কাজ করা হয়। গাছ রোপণ ও নিয়মিত পরিচর্যা করতে চসিকের আছে ৭০ জন মালি। কিন্তু যথাযথ তদারকির অভাবে তাদের কাজ দৃশ্যমান নয়।    

অভিযোগ আছে, গত কয়েক বছর ধরে চসিকের উদ্যোগে সড়কের আইল্যান্ডে বৃক্ষ রোপণ করতে দেখা যায়নি। বিদ্যমান গাছগুলোর পরিচর্যাও করা হয় না। উল্টো নানা ধরনের বর্জ্যে ভরপুর হয়ে থাকে আইল্যান্ডগুলো। আছে কেবল সৌন্দর্যবর্ধনের নামে ফুটপাত ও খালি জায়গা দখল করে স্থাপনা নির্মাণের উদ্যোগ। 

সরেজমিন দেখা যায়, নগরের জামাল খান সড়কে অতীতে লাগানো হয়েছিল নানা জাতের বৃক্ষ। এখন বৃক্ষগুলো বড় হয়েছে। তীব্র দাবদাহের এই সময়েও এসব বৃক্ষের নিচ দিয়ে যাতায়াত করার সময় অন্যরকম শীতলতা অনুভব হয়। পক্ষান্তরে, ১০ বছর আগে নগরের ফিরিঙ্গি বাজার কবি কাজী নজরুল ইসলাম সড়কে লাগানো হয়েছিল নানা জাতের গাছ। কিন্তু প্রয়োজনীয় পরিচর্যার অভাবে গাছগুলোর অবস্থা বেহাল। এমন অবস্থা নগরের চকবাজার, কলেজ রোড, নিউ মার্কেটসহ বিভিন্ন এলাকার সড়কের আইল্যান্ডের গাছের।

চসিকের অতিরিক্ত নগর পরিকল্পনাবিদ আবদুল্লাহ আল ওমর বলেন, আগে বর্ষা মৌসুমে ১০ থেকে ১২ হাজার গাছ লাগানো হতো। গত কয়েক বছর লাগানো হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ হাজার। তবে এসব গাছ সড়কের পাশে বা আইল্যান্ডে নয়, এগুলো লাগানো হয়েছে পাহাড়, খোলা জায়গায়। আগামী বর্ষা মৌসুমেও এভাবে বৃক্ষ রোপণ করা হবে। নগরে গাছ লাগানোর প্রয়োজনীয়তার বিষয়টা আমরা আগে থেকেই অনুভব করেছি। বর্তমান তপ্ত গরমের বাস্তবতায় সেটার গুরুত্ব আরও বেড়েছে।

সর্বশেষ খবর