শিরোনাম
মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০০ টা

দোকান যেন ছোট্ট বাগান

লিটনের মতো অন্যদেরও এগিয়ে আসতে হবে। নগরীর প্রত্যেক বাসায় একটি করে গাছ লাগালেও পরিবেশ অনেক শীতল হবে

মহিউদ্দিন মোল্লা, কুমিল্লা

দোকান যেন ছোট্ট বাগান

সিএনজি অটোরিকশার স্ট্যান্ড। হর্ন আর মানুষের চেঁচামেচি। গরমে এক রুক্ষ পরিবেশ। সেখানে নজর কাড়বে একটি ওষুধ দোকানের আঙিনা। আঙিনায় সবুজের স্নিগ্ধতা ছড়াচ্ছে কিছু গাছ। ওষুধ দোকানের আঙিনা যেন ছোট্ট বাগান। কুমিল্লা নগরীর কাপ্তান বাজারে এই দৃশ্য দেখা যায়। কাপ্তান বাজার সিএনজি স্ট্যান্ডের পাশে গোমতী কমিউনিটি ক্লিনিক ওষুধ বিক্রির দোকান। ওষুধ দোকানের সামনে কিছু গাছ লাগানো হয়েছে। নানা রকম ফুল, পাতাবাহার ও ফলের গাছ। ২৫-৩০টি গাছ। স্ট্যান্ডের যাত্রীরা এসে গাছগুলো দেখেন। এটা অনেকে কাছের নতুন দৃশ্য। কেউ কেউ গাছের নাম জানতে চান। দোকানের পরিচালক সফিউদ্দিন লিটন তাদের বিভিন্ন প্রশ্নে উত্তর দেন। দোকানের সামনে ছোট সাইনবোর্ডে রয়েছে বিভিন্ন ঘোষণা। তার মধ্যে রয়েছে- ৪নং ওয়ার্ডের মুক্তিযোদ্ধাদের বিনামূল্যে ডায়াবেটিস ও প্রেশার নির্ণয়। এ ছাড়া এতিম, পঙ্গুদের বিনামূল্যে চিকিৎসা প্রদান। দোকানের পরিচালক সফিউদ্দিন লিটন জানান, তার গ্রামের বাড়ি সদর উপজেলার শিমপুরে। দাদা ও ফুপা এলাকার নামি পল্লি চিকিৎসক ছিলেন। তিনি এমবিবিএস কোর্স করতে রাশিয়া গিয়েছিলেন। আটটি সেমিস্টার শেষে দুর্ঘটনায় পড়েন। শেষে দেশে এসে আর যাওয়া হয়নি। ঢাকায় প্যারামেডিকেল কোর্স করেন। ঢাকায় কিছুদিন ওষুধের ব্যবসা করেন। মাঝে কয়েক বছর ওমানে চাকরি করেন। দেশে এসে কুমিল্লা শহরতলির শাসনগাছায় ওষুধের ব্যবসা শুরু করেন। ছয়-সাত মাস আগে কাপ্তান বাজারে আসেন।

তিনি জানান, গাছ তার খুব প্রিয়। তাই দোকানের সামনে গাছ লাগিয়ে সকাল বিকাল পরিচর্যা করেন। তিনি মনে করেন, মানুষের বসবাস উপযোগী পরিবেশ তৈরিতে বেশি করে গাছ লাগাতে হবে। পাশের ব্যবসায়ী শাহ সৈয়দ আলী আক্কাস ও জামির হোসেন বলেন, দোকানের সামনে তার গাছ লাগানোর বিষয়টি ব্যতিক্রম। তার থেকে অন্যরা অনুপ্রাণিত হতে পারে। এ ছাড়া তার মুক্তিযোদ্ধা ও অসহায়দের পাশে দাঁড়ানোও ব্যতিক্রম বিষয়।

কুমিল্লা গার্ডেনার্স সোসাইটির পরিচালক ডা. আবু নাঈম বলেন, পরিবেশ ও মানুষ বাঁচাতে গাছ লাগাতে হবে। লিটনের মতো অন্যদেরও এগিয়ে আসতে হবে। নগরীর প্রত্যেক বাসায় একটি করে গাছ লাগালেও পরিবেশ অনেক শীতল হবে।

সর্বশেষ খবর