মঙ্গলবার, ৭ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

বদলে গেছে ময়লাপোতা-গল্লামারী-জিরোপয়েন্ট

সামছুজ্জামান শাহীন, খুলনা

বদলে গেছে ময়লাপোতা-গল্লামারী-জিরোপয়েন্ট

চকচকে কালো পিচঢালা প্রশস্ত রাস্তা। দুই পাশে টাইলস বসানো ফুটপাত আর সুউচ্চ আবাসন ভবন। রাতের নিয়ন আলোয় পরিচ্ছন্ন রাস্তা দেখে ভালো লাগার অনুভূতি হয়। দীর্ঘ ভোগান্তি শেষে ধীরে ধীরে পূর্ণতা পেয়েছে নগরীর ময়লাপোতা-গল্লামারী-জিরোপয়েন্ট ব্যস্ততম চার লেন সড়কের চিত্র।  শহরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি ও প্রবেশমুখে যানজট ও দুর্ঘটনা কমাতে প্রায় ৯৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ময়লাপোতা মোড় থেকে জিরোপয়েন্ট পর্যন্ত শেরেবাংলা রোড চার লেন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে সড়ক বিভাগ। ২০২০ সালের ৮ এপ্রিল খুলনা শহরাংশে প্রায় ৪ কিলোমিটার সড়কটি প্রশস্তকরণের কাজ শুরু হয়। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও কিছু স্থানে এখনো ড্রেন, ড্রেনের ওপর স্লাব ও ফুটপাত নির্মাণের কাজ চলছে। নগরীর নিরালা আবাসিক এলাকার বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম জানান, শহর বদলে যেতে শুরু করেছে। যানবাহনের চাপে কিছুদিন আগেও সড়কটিতে তীব্র যানজট হতো। ময়লাপোতা মোড়, নিরালা মোড় ও গল্লামারী এলাকায় যানজটে ভোগান্তিতে পড়তে হতো। সড়কটি চার লেনে প্রশস্ত ও মাঝে ‘রোড ডিভাইডার’ থাকায় ঝামেলামুক্ত চলাচল করা যাচ্ছে। দুই দিকের সড়কের মাঝ বরাবর ‘রোড স্টাড’ (ছোট লাইটের মতো প্রতিফলিত আলো) দিয়ে আলাদা লেন চিহ্নিত করায় রাতে গাড়ির হেডলাইটের আলোয় হাইওয়ে সড়কের আবহ তৈরি হয়।

খুলনা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আনিসুজ্জামান মাসুদ জানান, ময়লাপোতা মোড় দিয়ে প্রবেশের পর প্রশস্ত সড়কটি টানা গল্লামারী পর্যন্ত চলে গেছে। এরই মধ্যে সড়কটিকে ঘিরে এ অংশে উন্নত শহরের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। গল্লামারীতে ময়ূর নদের ওপর ঢাকার হাতিরঝিল আদলে দৃষ্টিনন্দন ব্রিজ করা হচ্ছে। এ ছাড়া খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে থাকবে ফুটওভার ব্রিজ। শহরের প্রবেশমুখে জিরোপয়েন্টের চারপাশে সড়কে কংক্রিটের ঢালাই দিয়ে সেখানে ইন্টারসেকশন নির্মাণ করা হচ্ছে। ওই কাজের ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৩১ কোটি টাকা। এসব কর্মযজ্ঞ শেষ হলে শহরের এ অংশ পুরোপুরি বদলে যাবে। মানুষজন রাস্তা-ব্রিজ দেখতে ময়ূর নদের পাড়ে সময় কাটাতে এখানে আসবেন।

বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি শেখ আশরাফ উজ্জামান জানান, বাগেরহাট, মোংলা, কয়রা, পাইকগাছা, দাকোপ, সাতক্ষীরা রুটের প্রায় সব যাত্রী এ সড়ক দিয়ে শহরে প্রবেশ করেন। গল্লামারী ও জিরোপয়েন্ট এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয়সহ সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, আবাসিক এলাকা গড়ে ওঠায় শহর সম্প্রসারিত হচ্ছে। ফলে সড়কটি চার লেনে প্রশস্ত হওয়ায় মানুষের প্রাণের দাবি পূরণ হয়েছে।

সর্বশেষ খবর