মঙ্গলবার, ৭ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

কৃষ্ণচূড়া সোনালু জারুলে রঙিন নগরী

মহিউদ্দিন মোল্লা, কুমিল্লা

কৃষ্ণচূড়া সোনালু জারুলে রঙিন নগরী

কৃষ্ণচূড়া, জারুল ও সোনালু ফুলের রঙে রঙিন হয়ে উঠেছে কুমিল্লা নগরী। গ্রীষ্মের এই সময়ে কৃষ্ণচূড়া, জারুল ও সোনালু তার আগুন রূপ ছড়াচ্ছে। ফুলের সৌন্দর্যে চোখ জুড়াচ্ছে পথচারীরা। নগরীতে কয়েক বছর আগেও গ্রীষ্মে লাল কৃষ্ণচূড়া আর হলুদ সোনালু ফুলের আধিক্য ছিল। তবে এখন ফুলগাছ অনেক কমে গেছে। কিছু গাছের ডালপালা ছেঁটে ফেলা হয়েছে। এখন নগরীর ধর্মসাগর দিঘির উত্তরপাড়, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে, নগর উদ্যানের উত্তর পাশে, স্টেডিয়ামের সামনে, জিলা স্কুলের সামনে, সিটি করপোরেশনের সামনে, নিউ হোস্টেলের পাশসহ বিভিন্ন স্থানে কৃষ্ণচূড়ার ফুল নজর কাড়ে। এদিকে সোনালু ফুল নগরীতে নেই বললেই চলে। কয়েক বছর আগেও নগরীর রামঘাটলা এলাকায় সোনালু ফুল দেখা গেছে। কাপ্তানবাজার এলাকায় কিছু সোনালু ফুল দেখা যায়। কৃষ্ণচূড়া, পলাশ, সোনালু ও জারুল জাতীয় গাছ লাগিয়ে নগরীর সৌন্দর্যবর্ধন করার দাবি নগরবাসীর। কবি ড. আলী হোসেন চৌধুরী বলেন, কুমিল্লা নগরী বিভিন্ন ফল ও ফুলের গাছে ভরপুর ছিল। সেই গাছগুলো অনেক কমে গেছে। কুমিল্লা প্রেস ক্লাবের পাশে জিলাপি জাতীয় ফলগাছ ছিল। এ ছাড়া অনেক শিমুল গাছ ছিল। তিনি আরও বলেন, মানুষের মন বিভিন্ন কারণে বিষণ্ণ হয়। কৃষ্ণচূড়া, জারুল ও সোনালু ফুলের রঙে চোখ রাখলে তার মন প্রফুল্ল হয়ে ওঠে। নগরীর সৌন্দর্য বাড়াতে কৃষ্ণচূড়া, পলাশ, সোনালু ও জারুল জাতীয় গাছের সংখ্যা বাড়ানো প্রয়োজন।

কুমিল্লা গার্ডেনার্স সোসাইটির পরিচালক ডা. আবু নাঈম বলেন, পলাশ, সোনালু, জারুল, উদাল, শিমুল ও কুরচির ফুল পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার পাশাপাশি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। আমরা বিভিন্ন ফোরামে অন্যান্য গাছের সঙ্গে এই গাছগুলো লাগানোর কথা বলে আসছি। নগরীর সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে গাছ লাগানোর বিষয়ে বন বিভাগ, জেলা প্রশাসন ও সিটি করপোরেশন উদ্যোগ নিতে পারে। সামাজিক বন বিভাগ কুমিল্লার বিভাগীয় বন কর্মকর্তা জি এম মোহাম্মদ কবির বলেন, মানুষের বেঁচে থাকার প্রয়োজনে উদ্ভিদের বিকল্প নেই। কৃষ্ণচূড়ার লাল, পলাশের লাল, সোনালুর হলুদ ও জারুলের বেগুনি ফুল বন ও পরিবেশের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। নগরীর সৌন্দর্যবর্ধনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলো ফুলজাতীয় গাছ লাগাতে পারে। এ ছাড়া তারা ফলের গাছ লাগানোতে গুরুত্ব দিতে পারে। এদিকে আইল্যান্ডে শক্ত প্রজাতির পলাশ, রাধাচূড়া ও জারুল লাগানো যেতে পারে।

সর্বশেষ খবর