মঙ্গলবার, ৭ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

বর্জ্য থেকে জৈব সার

নজরুল মৃধা, রংপুর

বর্জ্য থেকে জৈব সার

বর্জ্য থেকে জৈব সার তৈরি করে শহরের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে রংপুর সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ। পচনশীল বর্জ্য থেকে জৈব সার উৎপাদন করছে এই বিভাগ। জানা গেছে, পরিবেশ অধিদফতরের সহায়তায় বর্জ্য থেকে সার তৈরির প্ল্যান্ট স্থাপন করা হয়েছিল। বর্জ্যাগারের পাশে একটি শেডে ২৩টি প্রকোষ্ঠ করা হয়েছে। দৈনিক সর্বোচ্চ অর্ধ টন সার উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে এর। বর্তমানে দৈনিক ৩০০-৫০০ কেজি সার উৎপাদন হয় এখানে। মাসে এক থেকে দেড় টন সার উৎপাদন হয়। উৎপাদিত সার ১০ টাকা কেজিতে বিক্রি করা হয়।

গত বছর রংপুর নগরীর বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা বর্জ্য ভাগাড়ে না রেখে কাজে লাগিয়ে জৈব সার উৎপাদনের উদ্যোগ নেয় রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক)। ওই বছরের মে মাস থেকে নগরীর সাতমাথা নব্দীগঞ্জ সড়কে নাছনিয়া এলাকায় বর্জ্য থেকে জৈব সার উৎপাদনের দায়িত্ব দেওয়া হয় রি-গ্রিন নামের একটি বেসরকারি সংস্থাকে।

এ বিষয়ে রংপুর সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রধান কর্মকর্তা মিজানুর রহমান মিজু জানান, পচনশীল বর্জ্য থেকে প্রক্রিয়াজাত করে জৈব সার তৈরি করার জন্য ২০১৬ সালে রংপুর নগরের নাছনিয়া এলাকায় প্রায় এক একর জমির ওপর এই প্ল্যান্ট গড়ে তোলা হয়। এতে ব্যয় হয়েছে প্রায় সোয়া ২ কোটি টাকা। পরিবেশ অধিদফতরের অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয়। তিনি আরও জানান, সিটি করপোরেশনের ৩৩টি ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় প্রতিদিন বর্জ্যরে পরিমাণ প্রায় ১০০ মেট্রিক টন। এর মধ্য থেকে ৩৫টি ট্রাক ও ভ্যানে করে ৮০ থেকে ৯০ মেট্রিক টন বর্জ্য সংগ্রহ করা হয়। এসব বর্জ্য নগরীর গোদা সিমলা এলাকার কলাবড়ির স্থানে রাখা হয়। এই কাজে নিয়োজিত রয়েছেন ৬৮০ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী। সংগ্রহ করা এসব বর্জ্য হলো মিশ্র বর্জ্য। এসব বর্জ্য থেকে পচনশীল বর্জ্য আলাদা করতে হয়। সেখানে সার তৈরির জন্য রাখা হয়েছে ২৩টি প্রকোষ্ঠ। প্রতিটি প্রায় ২৪০ বর্গফুট আয়তনের। এসবে প্রায় ১৫ টন পচনশীল বর্জ্যরে ধারণক্ষমতা রয়েছে বলে জানান তিনি।

সর্বশেষ খবর