চট্টগ্রাম নগরে গ্রীষ্মের মৌসুমি বৃষ্টিতেই তৈরি হলো জলাবদ্ধতা। মাত্র কয়েক ঘণ্টার টানা বর্ষণে নগরের কোথাও বুকসমান, কোথাও কোমরসমান ও কোথাও হাঁটুসমান পানি জমে যায়। দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে নগরবাসীকে। ৬ মে বিকালে তিন ঘণ্টায় ৯৭ দশমিক ৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয় নগরীতে। নগরবাসীর আশঙ্কা, মৌসুমি বৃষ্টিতেও যদি জলাবদ্ধতা তৈরি হয়, তাহলে বর্ষা মৌসুমে টানা বর্ষণে কী অবস্থা হবে। বর্ষা মৌসুমে ভারী বর্ষণের আশঙ্কা থাকে। তখন জলাবদ্ধতার পরিস্থিতি কেমন হবে, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে শঙ্কা। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ করে। বর্তমানে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) জলাবদ্ধতা নিরসনে মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
চসিকের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, এবার মৌসুমি বৃষ্টিতে পানি জমেছে। তবে বেশি সময় স্থায়ী হয়নি। তাছাড়া পানি উঠেছে নগরের কিছু এলাকায়। ইতোমধ্যে ৪১ কাউন্সিলরকে বলা হয়েছে কোন কোন জায়গায় পানি বেশি জমেছে তা চিহ্নিত করে কার্যকর উদ্যোগ নিতে। একই সঙ্গে চলবে নালা-নর্দমা ও ড্রেন পরিষ্কারের কাজ। খালগুলো উদ্ধার করা গেলে জলাবদ্ধতা অনেকাংশে কমে যাবে।
চসিক সূত্র জানায়, নগরে নালা-ড্রেন আছে প্রায় ১ হাজার ৬০০ কিলোমিটার। এর মধ্যে মেগা প্রকল্পের অধীন ৩০২ কিলোমিটার ড্রেন ও নালার কাজ শেষ। কিন্তু বাকি ১৩০০ কিমি নালা-ড্রেনগুলো পরিষ্কারের দায়িত্ব চসিকের। চসিক গত বছর প্রায় ২ কোটি টাকা ব্যয়ে নালা ড্রেন পরিষ্কারের কথা বলেছিল। এর পরও এখন নালা ড্রেনগুলো আবর্জনা জমে পানি চলাচল ব্যাহত করছে।