মঙ্গলবার, ১৪ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

মৌসুমি বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

মৌসুমি বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা

চট্টগ্রাম নগরে গ্রীষ্মের মৌসুমি বৃষ্টিতেই তৈরি হলো জলাবদ্ধতা। মাত্র কয়েক ঘণ্টার টানা বর্ষণে নগরের কোথাও বুকসমান, কোথাও কোমরসমান ও কোথাও হাঁটুসমান পানি জমে যায়। দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে নগরবাসীকে। ৬ মে বিকালে তিন ঘণ্টায় ৯৭ দশমিক ৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয় নগরীতে। নগরবাসীর আশঙ্কা, মৌসুমি বৃষ্টিতেও যদি জলাবদ্ধতা তৈরি হয়, তাহলে বর্ষা মৌসুমে টানা বর্ষণে কী অবস্থা হবে। বর্ষা মৌসুমে ভারী বর্ষণের আশঙ্কা থাকে। তখন জলাবদ্ধতার পরিস্থিতি কেমন হবে, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে শঙ্কা। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ করে। বর্তমানে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) জলাবদ্ধতা নিরসনে মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।

চসিকের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, এবার মৌসুমি বৃষ্টিতে পানি জমেছে। তবে বেশি সময় স্থায়ী হয়নি। তাছাড়া পানি উঠেছে নগরের কিছু এলাকায়। ইতোমধ্যে ৪১ কাউন্সিলরকে বলা হয়েছে কোন কোন জায়গায় পানি বেশি জমেছে তা চিহ্নিত করে কার্যকর উদ্যোগ নিতে। একই সঙ্গে চলবে নালা-নর্দমা ও ড্রেন পরিষ্কারের কাজ। খালগুলো উদ্ধার করা গেলে জলাবদ্ধতা অনেকাংশে কমে যাবে।          

মেগা প্রকল্পের পরিচালক লে. কর্নেল ফেরদৌস আহমেদ বলেন, মৌসুমের বৃষ্টিতে নগরের কিছু এলাকায় পানি জমেছে। তবে তা দ্রুত নেমে যায়। বেশি পানি জমেছে এমন ১৩টি পয়েন্ট চিহ্নিত করা হয়েছে। এগুলো নিয়ে ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছি। তিনি বলেন, প্রকল্পের অধীনের নালা ও ড্রেনগুলোর উন্নয়ন-সম্প্রসারণ কাজ প্রায় শেষ। কিন্তু প্রকল্পের বাইরেও অনেক নালা ও ড্রেন আছে। সেগুলোও পরিষ্কার ও উন্নয়ন করতে হবে। তাহলেই পানি দ্রুত নেমে যাবে। নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে খাল পুনঃখনন, সম্প্রসারণ, সংস্কার ও উন্নয়ন’ শীর্ষক মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড। বর্তমানে প্রকল্পের ৭০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।

চসিক সূত্র জানায়, নগরে নালা-ড্রেন আছে প্রায় ১ হাজার ৬০০ কিলোমিটার। এর মধ্যে মেগা প্রকল্পের অধীন ৩০২ কিলোমিটার ড্রেন ও নালার কাজ শেষ। কিন্তু বাকি ১৩০০ কিমি নালা-ড্রেনগুলো পরিষ্কারের দায়িত্ব চসিকের। চসিক গত বছর প্রায় ২ কোটি টাকা ব্যয়ে নালা ড্রেন পরিষ্কারের কথা বলেছিল। এর পরও এখন নালা ড্রেনগুলো আবর্জনা জমে পানি চলাচল ব্যাহত করছে।

সর্বশেষ খবর