মঙ্গলবার, ২১ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

মানসম্মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের খোঁজ

মহিউদ্দিন মোল্লা, কুমিল্লা

মানসম্মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের খোঁজ

কুমিল্লা জিলা স্কুল ও নবাব ফয়জুন্নেছা স্কুল। এই দুটি স্কুল ছাড়া সন্তানদের লেখাপড়া করাতে বিকল্প কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের খোঁজ পাচ্ছিলেন না অভিভাবকরা। সীমিত আসনের কারণে সবাই সেখানে সুযোগও পাচ্ছিলেন না। সবার দাবি ছিল আরেকটি মানসম্মত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের। সে চাহিদা পূরণে এগিয়ে আসছে কুমিল্লা কালেক্টরেট স্কুল ও কলেজ। দেশের ৫৪টি কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজের মধ্যে সেরার তালিকায় রয়েছে কুমিল্লা কালেক্টরেট স্কুল ও কলেজ। ১০ বছরে প্রতিষ্ঠানটি সেরা তিনে উঠে এসেছে। ভবন ও শিক্ষক সংকট কাটিয়ে এটি আরও ভালো প্রতিষ্ঠানে পরিণত হতে পারে বলে সংশ্লিষ্টদের অভিমত।

কুমিল্লা নগরীতে তৃতীয় বিকল্প কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পাচ্ছিলেন না অভিভাবকরা। এ নিয়ে দীর্ঘদিন আলোচনায় ছিলেন কুমিল্লার শিক্ষাবিদরা। বিষয়টি নজরে আসে কুমিল্লার সাবেক জেলা প্রশাসক বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার। তিনি কুমিল্লায় আরেকটি মানসম্মত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার উদ্যোগ নেন। ২০১৪ সালের ১৯ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রীর তৎকালীন মুখ্য সচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী কুমিল্লা কালেক্টরেট স্কুল ও কলেজের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করেন। প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন কুমিল্লার সাবেক জেলা প্রশাসক মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল। টিনশেড দালানে ২০১৫ সালের ১ জানুয়ারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি যাত্রা শুরু করে। বাংলা ও ইংরেজি মাধ্যমে শুরু হওয়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিতে প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদান হয়। বর্তমানে স্কুলটিতে প্রায় ৩ হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত।

২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষায় এ প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখা থেকে ২১১ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। তার মধ্যে ২০৯ জন সাফল্যের সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়। এ বছর পাসের হার ৯৯.০৫ শতাংশ। গত বছর থেকে পাসের হার ও জিপিএ-৫ বেড়েছে। ২০২৩ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৭৫ জন জিপিএ-৫ পেয়েছিল, ২০২৪ সালে এসএসসি পরীক্ষায় ৯৬ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। সংগীত, খেলাধুলা, কারাতে ও বিতর্কে জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে সেরা হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া সমাপনী থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে ঈর্ষণীয় সাফল্য রয়েছে।

অধ্যক্ষ নার্গিস আক্তার বলেন, প্রথমে শিক্ষার্থী পাওয়া কষ্টের ছিল। ২১০ জন শিক্ষার্থী ও পাঁচজন শিক্ষক নিয়ে যাত্রা শুরু। নিজে ক্লাস নিয়েছি। এখন সেখানে প্রায় ৩ হাজার শিক্ষার্থী। প্রতিষ্ঠান ভালো করায় প্রতিনিয়ত বাড়ছে শিক্ষার্থী ভর্তির চাপ। কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের সার্বিক তদারকি ও সহযোগিতায় প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষা ব্যবস্থাপনায় অভূতপূর্ব পরিবর্তন এসেছে।

সর্বশেষ খবর