মঙ্গলবার, ২৮ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

বাঁশের পর এবার দড়ি থেরাপি

নজরুল মৃধা, রংপুর

বাঁশের পর এবার দড়ি থেরাপি

রংপুর নগরীতে যানজট কমাতে গুরুত্বপূর্ণ সড়কে বাঁশের পরিবর্তে এবার দড়ি থেরাপি শুরু করেছে ট্রাফিক বিভাগ। দড়ি থেরাপিতেও কোনো কাজ হচ্ছে না। কেউ মানছে না সড়কের দড়ির বিভাজন। স্থানীয়রা সুধী মহলের মতে ওয়ানওয়ে করলে হয়তো কিছুটা যানজট কমবে। এ ছাড়া যানবাহন চালকদের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। এক সময় নগরীর প্রধান সড়ক ওয়ানওয়ে পদ্ধতিতে চলছিল। দেখা গেছে, কিছুদিন আগে নগরীর পুলিশ লাইন্সের সামনে থেকে পায়রা চত্বর পর্যন্ত সড়কে বাঁশ দিয়ে লেন ভাগ করে দেওয়া হয়েছিল। এত যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রিত হয়নি। বাঁশের বিভাজনের কারণে যানজট আরও বেড়েছিল। যানজট কমাতে বেশ কিছুদিন থেকে ব্যস্ততম সড়কে দড়ির বিভাজন দেওয়া হয়েছে। দড়ির বিভাজনও কাজে আসছে না। অনেক স্থানের দড়ি ছিঁড়ে গেছে। তবে ট্রাফিক বিভাগ চেষ্টা করছে ভাগ করা লেন দিয়ে অটোরিকশা এবং রিকশা চলাচল করানোর। কিন্তু এ উদ্যোগও খুব একটা কাজে লাগছে না। যানজট লেগেই রয়েছে। এর আগে যানজট নিরসনে একটি পন্থা বের করা হয়। তা হলো নগরীতে বৈধ অটোরিকশা নীল রঙের হয়েছে। শুধু নীল রঙের অটোরিকশা নগরীর প্রধান সড়কে চলবে। অন্য উপজেলা থেকে আসা এবং লাইসেন্সবিহীন কোনো অটোরিকশা নগরীতে ঢুকতে দেওয়া হবে না। বৈধ লাইসেন্সধারী অটোরিকশায় করা হয়েছে নীল রং। নীল রং করেও যানজট কমানো যাচ্ছে না। বিশেষ করে প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে কাচারি বাজার পর্যন্ত যানজট লেগেই রয়েছে। এর পর বিভাজন করে বাঁশ, পরে দড়ি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কোনো উদ্যোগই কাজে লাগছে না। সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, রংপুর সিটি করপোরেশন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও রিকশার লাইসেন্স দিয়েছে ৮ হাজার। এর মধ্যে অটোরিকশার ৫ হাজারের কিছু ওপরে এবং রিকশার ৩ হাজার। কিন্তু নগরীতে অটোরিকশা ও রিকশা চলছে ৩০ হাজারের বেশি। বাইরের জেলা ও উপজেলা থেকে শত শত অটোরিকশা প্রবেশ করায় প্রতিদিন যানজট তীব্র হচ্ছে। অবৈধ রিকশা চলাচল বন্ধে নীল রং করা হলেও যানজট রয়েছে আগের মতোই। এখন বাঁশ দিয়ে বিভাজন করে যানজট কমানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র  তৌহিদুল ইসলাম বলেন, নগরীতে যানজট নিরসনে সিটি করপোরেশন ও মেট্রোপলিটন পুলিশ কাজ করছে।

সর্বশেষ খবর