মঙ্গলবার, ৪ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

বর্ধিত এলাকায় নেই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা

নজরুল মৃধা, রংপুর

বর্ধিত এলাকায় নেই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা

রংপুর সিটি করপোরেশন এলাকায় প্রতিদিন গড়ে আড়াই শ মেট্রিক টন বর্জ্য জমে। ৩৩টি ওয়ার্ডের মধ্যে পুরনো ১৫টি ওয়ার্ডে বর্জ্য অপসারণের ব্যবস্থা রয়েছে। এই ১৫টি ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় প্রতিদিন ১২০ টন বর্জ্য উৎপন্ন হয়। এর মধ্যে ১০০ টন বর্জ্য অপসারণ করা সম্ভব হয়। বাকি ২০ থেকে ২৫ মেটিক টন বর্জ্য অপসারণ করা সম্ভব হয় না। এ ছাড়া বর্ধিত ও নতুন এলাকাগুলোতে আরও দেড় শ টন বর্জ্য উৎপন্ন হয়। এসব বর্জ্য পচে দুর্গন্ধ বাতাসে মিশে মারাত্মক বাযূদুষণ করছে। এসব বর্জ্য হোটেল ও রেস্টুরেন্টের আবর্জনা, শিল্পকারখানা  থেকে উৎপাদিত আবর্জনা, রান্নাঘরের পরিত্যক্ত আবর্জনা, হাটবাজারের পচনশীল শাকসবজি, কসাইখানার রক্ত অন্যতম উৎস। যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা উন্মুক্তভাবে ফেলে রাখায় বাতাস ও মাটি দূষিত হচ্ছে। অপরিকল্পিতভাবে বর্জ্য ফেলার কারণে আশপাশে দুর্গন্ধের পাশাপাশি দেখা যায় মশা, মাছি ও পোকামাকড়ের মাত্রাতিরিক্ত উপদ্রব। বর্ষা মৌসুমে বর্জ্যগুলোর অবস্থা হয় আরও ভয়াবহ।

এ ছাড়া নগরীতে প্রতিদিন আড়াই টনের ওপর ক্লিনিক্যাল বর্জ্য উৎপন্ন হয়। নদীতে বর্ষা মৌসুমে সময়মতো বর্জ্য অপসারণ না করায় বর্জ্যগুলোর দ্রুত পচন প্রক্রিয়া শুরু হয়। রংপুর সিটি করপোরেশনের ৬টি নদ-নদীতে পচা বর্জ্য থেকে তরল, দুর্গন্ধযুক্ত রস তৈরি হয়ে পানিবাহিত রোগ বাড়াচ্ছে।

তবে সিটি করপোরেশন বলছে, বর্ধিত ১৮টি ওয়ার্ডের মধ্যে নতুন করে পাঁচটি ওয়ার্ড বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আনা হয়েছে। তবে সক্ষমতার অভাবে বাকি ১৩টি ওয়ার্ডের বর্জ্য অপসারণ করা সম্ভব হচ্ছে না। সিটি করপোরেশন গঠন হওয়ার পরে বর্ধিত এলাকা বাদেও নগরীতে নতুন নতুন এলাকায় ঘরবাড়ি গড়ে উঠেছে। কোথাও কোথাও বহুতল ভবনও হয়েছে। ওইসব এলাকাতেও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নেই। নেই ড্রেনেজ ব্যবস্থা। ফলে নতুন এলাকার বাসিন্দারা নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর