মঙ্গলবার, ১১ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

কলেজ রোডে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

কলেজ রোডে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি

চট্টগ্রাম নগরের চকবাজার কলেজ রোড এলাকায় আছে সরকারি-বেসরকারি অন্তত ১০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠানে আছে প্রায় অর্ধলক্ষ শিক্ষার্থী। কিন্তু চট্টগ্রাম কলেজ ও মহসিন কলেজকে কেন্দ্র করে ফুটপাতে অবৈধভাবে বসছে অসংখ্য ভাসমান দোকান। ফুটপাত দখল করে বসা এসব দোকানের কারণে চলাচলে দুর্ভোগে পড়তে হয় শিক্ষার্থীদের। বিশেষ করে কলেজের ছাত্রীদের নানাভাবে বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে চলাচল করতে হয়।

এ নিয়ে গত ৩১ মে চট্টগ্রাম কলেজ রোডের ফুটপাতে অবৈধ দোকানগুলোর উচ্ছেদ চেয়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের কর্মীরা। চসিক মেয়র দ্রুত সময়ের মধ্যে এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের আশ্বাস দেন। কলেজকে কেন্দ্র করে কসমেটিকস, কাপড়, টং দোকান ও ফুসকাসহ নানা ধরনের দোকান বসে।   

অভিযোগ আছে, চট্টগ্রাম কলেজ রোডে ফুটপাত দখলে নিয়ে টাকার বিনিময়ে অবৈধ দোকানপাট বসিয়ে সৌন্দর্যহানি ও শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নষ্ট করছে একটি চক্র। প্রতিদিন এসব দোকান থেকে তোলা হয় বিভিন্ন নেতার নামে চাঁদা। ফুটপাতে বসানো টংয়ের দোকান ঘিরে ঘটেছে একাধিক সংঘর্ষের ঘটনাও। তাছাড়া কলেজের আশপাশের বিভিন্ন ফুটপাতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করেও ঘটে নানা ঘটনা।

চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল সাইমুন বলেন, কলেজের গেট ও আশপাশে, মহসিন কলেজের গেট, প্যারেড ময়দানের পশ্চিম ও উত্তর পাশের ফুটপাত দখল করে প্রতিদিনই ক্লাস সময়ে হকাররা বসে। এতে কলেজের ছাত্রীদের নানাভাবে ভোগান্তি ও বিব্রতকর অবস্থার মধ্য দিয়ে চলাচল করতে হয়। তাছাড়া ছাত্র এবং সাধারণ পথচারীকেও ভোগান্তি মাড়িয়ে পথ চলতে হয়। তাই আমরা এসব অবৈধ দোকান উচ্ছেদে মেয়র মহোদয়কে স্মারকলিপি দিয়েছি। তিনি এ ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন।

চসিকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চৈতি সর্ববিদ্যা বলেন, নগরের ফুটপাতে অবৈধভাবে বসা সব দোকান ও স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান চলমান আছে। আর চট্টগ্রাম কলেজ ও মহসিন কলেজকে কেন্দ্র করে অবৈধভাবে ফুটপাত দখল করে হকার বসার বিষয়টাও আমাদের নজরে আছে। সেখানেও উচ্ছেদ পরিচালনা করা হবে। নগরের প্রতিটা ফুটপাত পথচারীর, তাই এ ফুটপাত পথচারীর জন্য ছেড়ে দিতে হবে।

চসিক সূত্রে জানা যায়, গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে চসিক নগরের ফুটপাত উদ্ধারে কঠোর অভিযান শুরু করে। ওই দিনই নগরের ফলমন্ডি থেকে আলকরণ, জুবিলী রোড-আমতল-রিয়াজুদ্দিন পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করে ছোট-বড় ২ হাজার দোকান উচ্ছেদ করা হয়। এরপর থেকে প্রায় প্রতিদিনই চসিকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। উচ্ছেদকৃত এলাকা ফের উচ্ছেদ না হতে চসিকের উদ্যোগে বৃক্ষ রোপণ, সৌন্দর্যবর্ধন করা এবং ফুলের গাছ লাগানো হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর