মঙ্গলবার, ১১ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

বর্ষায় বিমানবন্দর উত্তরায় জলাবদ্ধতার আশঙ্কা

নিজস্ব প্রতিবেদক

আসন্ন বর্ষায় রাজধানীর বিমানবন্দর এবং উত্তরার অনেক এলাকা জলাবদ্ধতায় ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিমানবন্দর এলাকায় অপরিকল্পিত একটি জলাশয় ভরাট করার কারণে এ আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়নের নামে বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশনসংলগ্ন বিশালাকৃতির জলাশয় ভরাট করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। ওই জলাশয় হয়ে কসাইবাড়ী, বিমানবন্দর ও উত্তরা-২ ও ৪ নম্বর সেক্টরের একাংশে বৃষ্টির পানি এডি-৮ খাল হয়ে নিষ্কাশন হতো। জলাশয়টি ভরাট হওয়ায় ভারী বর্ষায় বিমানবন্দর সড়ক ও উত্তরার একাংশ ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রকৌশলীরা।

তাদের মতে, জলাশয়, ডোবা, নালাগুলো রাজধানীর বৃষ্টির পানির আধার। এসব ভরাট করে ফেললে বৃষ্টির পানি জমা হওয়ার কোনো জায়গা পাবে না। ইতোমধ্যে শহরের সিংহভাগ জলাশয় ভরাট করে ফেলা হয়েছে। এখনো যেটুকু রয়েছে, সেগুলো পরিকল্পনা করে না রাখা গেলে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন দুরূহ হয়ে পড়বে। সামান্য বৃষ্টিতে সড়ক, ফুটপাত, অলিগলি ডুবে যাবে। বর্তমানে যে অবস্থা রয়েছে, সবাই মিলে তা রক্ষার চেষ্টা না করলে পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নেবে।

তারা জানান, প্রথমত, বিমানবন্দর স্টেশনসংলগ্ন জলাশয় ভরাট করা উচিত হয়নি। দ্বিতীয়ত, জলাশয় ভরাট করে রেলওয়ে যে বক্স কালভার্ট করছে, তা খুবই সরু। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকার পানি নিষ্কাশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা হিসাবে যে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, রেলওয়ে তা শুনছে না। অথচ ভরাট করা জলাশয়ের ওপর স্থায়ী অবকাঠামো নির্মাণ করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে চাইলেও তা সংশোধন করার সুযোগ থাকবে না।

চিঠিতে আরও বলা হয়, বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশনসংলগ্ন জলাশয় ভরাট করায় বৃষ্টি হলে বিমানবন্দর, উত্তরার সড়কের একাংশে জলাবদ্ধতা হচ্ছে। ৮ মে সংশ্লিষ্ট এলাকা পরিদর্শন করেন ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলী, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী, বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রকল্প পরিচালক এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রতিনিধি। পরিদর্শন স্পটে রেলওয়ের প্রকল্প পরিচালক জানান, রেলওয়ের প্রয়োজনে সংস্থার খালি জায়গা বা জলাশয় ভরাট করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর