মঙ্গলবার, ২৫ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

মজা পুকুর সংস্কারে কমবে জলাবদ্ধতা

মহিউদ্দিন মোল্লা, কুমিল্লা

মজা পুকুর সংস্কারে কমবে জলাবদ্ধতা

কুমিল্লা নগরীতে অল্প বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। বর্ষার শুরুতেই নগরীতে জলাবদ্ধতার শোডাউনও হয়ে গেছে। নগরীর অর্ধশতাধিক মজা পুকুর সংস্কার করলে এই জলাবদ্ধতা অনেক কমতে পারে বলে মনে করেন নাগরিকরা। এই মজা পুকুরের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। ময়লা ফেলে, কোথাও কচুরিপানা জমিয়ে মজা পুকুর সৃষ্টি করা হচ্ছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, নগরীর পুরাতন চৌধুরীপাড়া টিঅ্যান্ডটি মসজিদসংলগ্ন পুকুর দীর্ঘদিন পরিষ্কার করা হচ্ছে না। এতে কচুরিপানা জমে আছে। পুকুরের ভিতরে কলাগাছ জন্মেছে। মোগলটুলী এলাকার নাজির পুকুর পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে দুই যুগ ধরে। কাপ্তান বাজার এলাকায় পরিবেশ অধিদফতরের অফিসের সঙ্গের কার্জন কুটির পুকুরে ময়লা ফেলা হচ্ছে। যদিও ময়লা না ফেলতে সাইনবোর্ড ঝুলানো হয়েছে। এদিকে কাপ্তান বাজার এলাকার পশ্চিম অংশের ছোট কয়েকটি পুকুর ময়লা ফেলে ভরাট করতে দেখা গেছে।

মোগলটুলী এলাকার বাসিন্দা ওমর ফারুকী তাপস বলেন, নাজির পুকুরের পানি অনেক পরিষ্কার ছিল। ১৯৮৭-৮৮ সালেও এই পুকুরে গোসল করেছি, সাঁতার কেটেছি। পুকুর সংস্কার করলে এলাকার মানুষ উপকৃত হবে। আলোকিত বজ্রপুর সংগঠনের সংগঠক রফিকুল ইসলাম সোহেল বলেন, শিক্ষা বোর্ডের পেছনে ঠাকুরপাড়ায় একটি পুকুরসহ নগরীর বিভিন্ন পুকুর ব্যবহারের অনুপোযোগী হয়ে গেছে। পুকুরগুলো ব্যবহার উপযোগী থাকলে শিশুরা সাঁতার কাটতে পারত। পাড়ে গাছ লাগিয়ে পরিবেশের সৌন্দর্য বৃদ্ধি এবং হাঁটার জন্য ওয়াকওয়ে করা যায়।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন কুমিল্লার সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর মাসুম বলেন, দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে কুমিল্লা নগরীর পুকুর। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় পুকুরের বিকল্প নেই। ময়লা জমে থাকা পুকুরগুলো পরিষ্কার করতে হবে। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসন, সিটি করপোরেশন ও পরিবেশ অধিদফতরকে আরও কঠোর ভূমিকা গ্রহণ করতে হবে।

কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী জিপি চৌধুরী বলেন, আমরা সম্প্রতি নগরীর পুকুরগুলো সংস্কার করতে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছি। এ নিয়ে মেয়র মহোদয় খুব আন্তরিক। কয়েক দিনের মধ্যে এ নিয়ে আমরা কাজ শুরু করব। পুকুর মালিকরা সংস্কার করতে না পারলে প্রয়োজনে আমরা তাদের সহযোগিতা করব। আমরা আশা করি, এতে জলাবদ্ধতা কমবে। মশা কমবে। সঙ্গে পানির চাহিদা মিটবে এবং এলাকার পরিবেশের সৌন্দর্য বাড়বে।

সর্বশেষ খবর