রংপুর নগরীর শাপলা চত্বরের পশ্চিমের সড়কটির দুই পাশে ছিল প্রায় ১০০ চামড়া ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান। চামড়াপট্টি হিসেবে এক নামে পরিচিত ছিল ওই স্থানটি। ব্যবসায়ী, ফড়িয়া ও শ্রমিকের হাঁকডাকে মুখর ছিল সব সময়। এখন চামড়াপট্টিতে মাত্র সাতজন এই ব্যবসা ধরে রেখেছেন। শতাধিক ব্যবসায়ী চামড়ার ব্যবসা ছেড়ে দিয়ে অটোরিকশা, বড়-সিমেন্টসহ বিভিন্ন ব্যবসা করছেন। নগরবাসীর কাছে চামড়া পট্টি এখন অতীত। এ পেশার সঙ্গে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে জড়িত ৫০ হাজারের বেশি ফড়িয়া, শ্রমিক, পাইকার ও ব্যবসায়ী তাদের পেশা পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছেন। বকেয়া টাকা না পাওয়া অন্যদিকে ট্যানারি মালিকদের সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বেঁধে দেওয়া কমদামের কারণে তারা চামড়া ব্যবসার পেশা পরিবর্তন করেছেন।
চামড়াপট্টিতে গিয়ে দেখা গেছে, চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী চামড়া ব্যবসা ছেড়ে দিয়ে অটো রিকশার শোরুম দিয়েছেন। তার মতো ব্যবসায়ী আকতারুজ্জামান, মাহাবুব রহমানসহ প্রায় ১০০ ব্যবসায়ী পেশা পরিবর্তন করেছেন। তাদের অধিকাংশই অটোরিকশা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত হয়েছেন। তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রংপুরের ব্যবসায়ীরা পেশা পরিবর্তন করতে শুরু করেন ২০১০ সালের পর থেকে।
বর্তমান চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আফজাল হোসেন বলেন, সরকারি কিছু নীতির কারণে চামড়া ব্যবসায়ীরা ক্রমাগত লোকসান দিয়ে আসছেন। এক সময় এখানে ১০০ জনের বেশি ব্যবসায়ী ছিলেন। এই ব্যবসাকে ঘিরে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে ৫০ হাজার মানুষ জীবিকা নির্বাহ করতেন। গত দুই দশক থেকে চামড়া ব্যবসায়ীরা লোকসান গুনতে গুনতে পুঁজি হারিয়ে ফেলেন। ফলে অনেকেই ব্যবসা ছেড়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, বর্তমানে মজিবর রহমান, একরামুল ইসলাম, নান্নু মিয়াসহ মাত্র সাতজন চামড়া ব্যবসায়ী রয়েছেন এখানে।