মঙ্গলবার, ২৫ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

গাজীপুরে নিয়ন্ত্রণহীন অটোরিকশা

আফজাল, টঙ্গী

গাজীপুরে নিয়ন্ত্রণহীন অটোরিকশা

গাজীপুরে নিয়ন্ত্রণহীন অটোরিকশা ও ইজিবাইক। যত্রতত্র স্ট্যান্ড ও খেয়ালখুশি চলাচলের কারণে জনজীবন অনেকটাই থমকে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। আবার এসব গাড়ি কেড়ে নিচ্ছে অনেকের প্রাণ। অদক্ষ চালকের হাতে এসব গাড়ি থাকায় একের পর এক দুর্ঘটনা বাড়ছে। এ ছাড়া নগরীর শাখা সড়কে তীব্র যানজটের একটাই কারণ ধীর গতিতে চলা এসব গাড়ি। এ নিয়ে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেই জেলা প্রশাসন, পুলিশ, সিটি করপোরেশনের। মাঝেমধ্যে পুলিশ কর্তৃক অভিযান চালিয়ে কিছু গাড়ি আটকে ডাম্পিং করতে দেখা গেলেও তা আবার আগের মতোই রাস্তায় ফিরে আসে।

সরেজমিনে ঘুরে জানা যায়, গাজীপুরে নগরজুড়ে নিয়ন্ত্রণহীন লাখ লাখ অটোরিকশা ও ইজিবাইক। লাইসেন্সবিহীন এসব ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক ও অটোরিকশার অত্যাচারে অতিষ্ঠ জনজীবন। সড়কের দিকে তাকালে শুধু অটোরিকশা আর ইজিবাইক। নগরজুড়ে কত লাখ গাড়ি চলাচল করছে এ নিয়ে নেই কোনো সুনির্দিষ্ট পরিসংখ্যান। আবার গাড়ির মালিকরা কৌশলে বিদ্যুৎ চুরিও করছে নীরবে। সব মিলিয়ে নগরীতে বিশৃঙ্খল অবস্থা চলছে। এদিকে একটি চক্র সড়কের জায়গা দখল করে অটোরিকশা ও ইজিবাইকের স্ট্যান্ড বসিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এই টাকার একাংশ যাচ্ছে দলীয় নেতা-কর্মী ও পুলিশের পকেটে। আবার ট্রাফিক পুলিশের আটক বাণিজ্য তো আছেই। যে কারণে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরছে না বলে মন্তব্য এলাকাবাসীর। এভাবে চলতে থাকলে এর ভয়াবহতা আরও বেড়ে যাবে। টঙ্গী স্টেশন রোড এলাকার ব্যবসায়ী জাকির হোসেন বলেন, ট্রাফিক পুলিশ ইজিবাইক ও অটোরিকশা আটক করে রেকার বিলের নামে প্রতিটি গাড়ি থেকে ৫০০ ও ১ হাজার টাকা নিয়ে ছেড়ে দেয়। পুলিশ আটক বাণিজ্যে দিন পার করেন।

নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অটোস্ট্যান্ডের মধ্যে টঙ্গী স্টেশন রোড, টঙ্গী পূর্ব থানা গেট, চেরাগআলী, কলেজ গেট, বনমালা, টঙ্গীবাজার, গাজীপুরা সাতাইশ, বড়বাড়ি, বোর্ডবাজার, মালেকের বাড়ি, জয়দেবপুর, কাশিমপুর, কোনাবাড়ি, সালনাসহ নগরীর বিভিন্ন এলাকায় সড়কের গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে স্ট্যান্ড বসিয়ে লাখ লাখ টাকা চাঁদা তুলছে। উত্তরা ৯ নম্বর সেক্টর থেকে আরাফাত হোসেন কাঁচাবাজার করতে টঙ্গীবাজার আসেন। পরে অটোর ধাক্কায় গুরুতর আহত হন। তিনি বলেন, সড়কে অটোরিকশা ও ইজিবাইকের রাজত্ব এখন। এসব গাড়ি নিয়ন্ত্রণহীন থাকায় জনসাধারণের সীমাহীন দুর্ভোগ। এ বিষয়ে টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মুস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর