নগরীতে কয়েক বছর আগেও বিভিন্ন গাছের আধিক্য ছিল। ছায়াঢাকা নগরী হিসেবে কুমিল্লার সুনাম ছিল। তবে সেই গাছের শোভা কমে গেছে। নগরীতে আবার সবুজ ফিরিয়ে আনতে চান নগর কর্তৃপক্ষ। ফৌজদারি-আদালত সড়কের বিভাজকে গাছ লাগানো হয়েছে। এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন নগরবাসী। নগরীর সৌন্দর্য বৃদ্ধি ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় আরও গাছ লাগানোর দাবি জানিয়েছেন নগরীর বাসিন্দারা।
সূত্র মতে, দিন দিন নগরী গাছশূন্য হচ্ছে। বাড়ছে নগরীর উষ্ণতা। বিশেষ করে নগরীর কান্দিরপাড়, বাদুড়তলা, ঝাউতলা, রাজগঞ্জ, বজ্রপুর, চকবাজার, লাকসাম রোড, টমছম ব্রিজ, রানীরবাজার এলাকায় গাছ নেই বললেই চলে। নগরীর ধর্মসাগর পাড়ে, কাপ্তানবাজার, বিষ্ণপুর, কালিয়াজুরি, সংরাইশ, ঠাকুরপাড়া এলাকায় কিছু গাছ নজরে পড়ে।
সামাজিক বন বিভাগ কুমিল্লার বিভাগীয় বন কর্মকর্তা জি এম মোহাম্মদ কবির বলেন, মানুষের বেঁচে থাকার প্রয়োজনে উদ্ভিদের বিকল্প নেই। নগরীর সৌন্দর্যবর্ধনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলো ফুল জাতীয় গাছ লাগাতে পারে।
এ ছাড়া তারা ফলের গাছ লাগানোতে গুরুত্ব দিতে পারে। এদিকে সড়ক বিভাজকে শক্ত প্রজাতির পলাশ, রাধাচূড়া ও জারুল গাছ লাগানো যেতে পারে। কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. তাহসীন বাহার সূচনা বলেন, আমরা ফৌজদারি-আদালত সড়কের বিভাজকে গাছ লাগিয়েছি। রামঘাটলার অবৈধ সিএনজি স্ট্যান্ড উচ্ছেদ করেছি, সেখানে বাগান করব। মোগলটুলী মোড়েও গাছ লাগানোর পরিকল্পনা রয়েছে।