মঙ্গলবার, ৯ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা

কোটাবিরোধী আন্দোলনজটে নাকাল নগরবাসী

নিজস্ব প্রতিবেদক

কোটাবিরোধী আন্দোলনজটে নাকাল নগরবাসী

কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের বিভিন্ন কর্মসূচির কারণে রাজধানীতে সম্প্রতি যানজট বেড়ে গেছে। নগরীর বিভিন্ন সড়ক আন্দোলনকারীদের কর্মসূচির কারণে বন্ধ থাকছে। ফলে যানজটে নাকাল হয়ে যাচ্ছে নগরবাসী। ১ জুলাই শুরু হওয়া কোটাবিরোধী এই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে সারা দেশের শিক্ষাঙ্গনগুলোতে। ফলে যখন তখন সড়ক পথ, রেল পথ আটকে দিচ্ছে আন্দোলনকারীরা। এতে যে কোনো গন্তব্যে রওনা দিয়ে কে কখন পৌঁছাতে পারবে তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। এই অচলাবস্থা নিরসনে সরকারের তরফ থেকে কোনো আগ্রহ বা আশ্বাস মিলছে না।  

কেন্দ্রীয় কর্মসূচি হিসেবে গত রবিবার সারা দেশে ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি ঘোষণা করে আন্দোলরত শিক্ষার্থীরা। এর ফলে রবিবার সকাল থেকেই তীব্র যানজটে পড়েন রাজধানীবাসী। ‘বাংলা ব্লকেড’ শুরু হয় দুপুর ২টার পর। এর আগে থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে দীর্ঘ সময় যানজটে আটকে থাকার দৃশ্য দেখা গেছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) আগের দিন শনিবার রাতেই যানজট নিয়ে অগ্রিম বার্তা দিয়েছিল।

সরেজমিনে দেখা গেছে, পুরান ঢাকার তাঁতীবাজার, রায় সাহেব বাজার মোড়, বংশাল, গুলিস্তান, পুরানা পল্টন মোড়, এদিকে হাতিরঝিল মোড়, সাতরাস্তা, কাকরাইল, গুলিস্তান, মহাখালী, আগারগাঁও, আসাদগেট, পান্থপথ, কলাবাগান, মগবাজার, কারওয়ান বাজার, বাংলামোটর সড়কে তীব্র যানজট ছিল।

দুপুর ৩টায় ঢাকার সড়কগুলো প্রায় থমকে যায়। এ সময় রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে নামতে থাকে কোটাবিরোধী শিক্ষার্থীরা। এতে যানজট নিরসন ও সড়কে থাকা বিভিন্ন গাড়ি বিকল্প রাস্তায় সরিয়ে নিতে ব্যস্ত সময় পার করে ট্রাফিক পুলিশ। দুপুরের পর শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিলের কারণে শাহবাগ, সায়েন্সল্যাব, চানখাঁরপুল মোড়, আগারগাঁও, মহাখালী ও পল্টন এলাকার গুরুত্বপূর্ণ মোড় অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। এর কারণে রাজধানীর কারওয়ান বাজার, সোনারগাঁও, সাতরাস্তা, মহাখালী, বনানী, কাকলী, বিজয় সরণি, ফার্মগেট, গুলশান-১, গুলশান-২, গুলশান লিংকরোড এবং প্রগতি সরণিসহ বিভিন্ন এলাকার রাস্তায় থমকে যায় সারি সারি যানবাহন। দুপুর ২টার দিকে আন্দোলনরত ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা শুরুতে সায়েন্সল্যাব মোড় অবরোধ করে। বিকাল ৩টার কিছু পরে শিক্ষার্থীরা রাজধানীর শাহবাগ মোড়, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড় অবরোধ করে। এতে আজিমপুর ও নিউমার্কেট থেকে মিরপুর ও গাবতলীর পথে চলাচলের সড়কটি দিয়েও যান চলাচল ব্যাহত হয়। অবশ্য সন্ধ্যা ৭টার পর শাহবাগ ছাড়া রাজধানীর সব মোড় ছেড়ে দেন আন্দোলনকারীরা। সায়েন্সল্যাব, নীলক্ষেত, চানখাঁরপুল, বাংলা মোটর ও পরীবাগ মোড় থেকে মিছিল নিয়ে শাহবাগে জড়ো হতে থাকেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। পরে রাত ৮টার দিকে কর্মসূচি ঘোষণা করে শাহবাগ মোড় ছেড়ে দেন তারা।

যানজটে পড়ে মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারও। চানখাঁরপুল মোড়ে হানিফ ফ্লাইওভারে ওঠানামার রাস্তা অবরুদ্ধ করে ফেলে শিক্ষার্থীরা। এতে ফ্লাইওভার থেকে মূল সড়কে নামার মুখে গাড়িগুলোকে দীর্ঘ সময় আটকে থাকতে হয়। বেলা ২টা থেকে থেমে থেমে গাড়ি চললেও বিকাল ৪টার পর থেকে উড়ালসড়ক হয়ে রাজধানীর ভিতরে গাড়ি প্রবেশ করতে পারছিল না। অনেককে বাস থেকে নেমে গন্তব্যে হেঁটে রওনা দিতেও দেখা যায়।

সর্বশেষ খবর